চম্পক দত্ত: গৃহস্থ বাড়ি। বাড়ির সঙ্গেই রয়েছে মুদিখানা দোকান। সেখানেই রমরমিয়ে চলছিল চোলাই পাউচ মদের ব্যবসা। বারবার নিষেধ করার পরও না হওয়ায় চোলাই মদের ব্যবসা বন্ধে অভিযান গ্রামের মহিলাদের। এনিয়ে চরম হাঙ্গামা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা থানার বাচকা গ্রামে।
গ্রামের মহিলাদের অভিযোগ, বাচকা গ্রামের বাসিন্দা অসিত ভূঁইয়া নামের এক ব্যক্তির তার বসতবাড়ির সঙ্গে রয়েছে ভুষিমালের দোকান। বেশ কিছুদিন ধরে অসিত ভূঁইয়া তার বাড়িতে রমরমিয়ে চোলাই পাউচ মদের ব্যবসা করছেন। এমনকি অসিত ভূঁইয়ার থেকে মদ কিনে তার বাড়িতেই চলে চোলাই মদের আসর। বাচকা গ্রাম থেকে একধারে নির্জন জায়গায় বাড়ি হওয়ায় চোলাই মদের কারবার টের পাননি অনেকেই।
গ্রামের মহিলাদের দাবি, গ্রামে আরও চোলাই কারবার চলতো সেগুলো তারা বন্ধ করলেও এই অসিত ভূঁইয়ার চোলাই কারবার শুরু হওয়াতে অন্যরা পুনরায় ব্যবসা শুরু করেছে। গ্রামের মহিলাদের আরও দাবি, গ্রামে চোলাই মদের কারবারের জেরে মাতালের উৎপাত থেকে চুরি বেড়ে চলেছে। এমনকি গ্রামের নাবালক ছেলেরাও চোলাই মদে আসক্ত হয়ে পড়ছে। তাই প্রশাসন দ্রুত চোলাই মদ বন্ধে তৎপর হোক এবং চোলাই কারবারিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিক।
এদিকে, যার বিরুদ্ধে চোলাই মদের ব্যবসার অভিযোগ সেই অসিত ভূঁইয়া অবশ্য অদ্ভুত দাবি করেছেন, তার বাড়িতে কোনো চোলাই মদ বিক্রি হয় না, এসবের সাথে তিনি যুক্ত নন। তাহলে তার বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া পাউচে চোলাই মদ এবং বাড়ির চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকা পাউচের প্যাকেট এল কী করে? অসিতের দাবি,বাড়িতে কেউ না থাকলে তার বাড়িতে কেউ বা কারা মদ খেয়ে চলে যায়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাচকা গ্রামের মহিলারা অসিত ভূঁইয়ার বাড়িতে চোলাই ঠেকে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েক লিটার পাউচে ভর্তি চোলাই মদ উদ্ধার করে নষ্ট করেন,পাশাপাশি বাড়ির চারপাশে এমনকি উনুনে ভিতরও টের পেয়ে লুকিয়ে রাখা চোলাই পাউচও উদ্ধার হয়। চোলাই কারবারির সঙ্গে গ্রামের মহিলাদের রীতিমতো তুলকালাম বেঁধে যায় চোলাই মদ বন্ধ করতে গিয়ে। এখন দেখার আবগারি দফতর কী পদক্ষেপ নেয়।