জেল থেকে ‘কাকু’কে হুইল চেয়ারে বার করা হয়। তার পরনে ছিল সাদা জামা, কালো ট্রাউজার্স। গায়ে জড়ানো ছিল শাল। মাথায় কালো টুপি ও পায়ে চটি। অ্যাম্বুল্যান্স থেকে নামিয়ে রাত ১২টা ৪৩ মিনিট নাগাদ তাঁকে হুইলচেয়ারে করে হাসপাতালে ঢোকানো হয়।
মঙ্গলবার বিচারভবনে বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারকের নির্দেশ ছিল, ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে থাকবেন ‘কালীঘাটের কাকু’। কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে হবে। প্রতি দিন এক ঘণ্টার জন্য আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলতে পারবেন ‘কালীঘাটের কাকু’। তবে, সিবিআই জেরার সময় আইনজীবীর সঙ্গে তিনি কোনও কথা বলতে পারবেন না।
রাত্রি সাড়ে ৯টা নাগাদ সিবিআই যখন প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে গিয়েছিল, তখনও মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছিল বলে কোনও খবর পাওয়া যায়নি। তাই জল্পনা ছড়িয়েছিল, ‘কালীঘাটের কাকু’কে আদৌ মঙ্গলবার রাতে সিবিআই নিজেদের হেফাজতে নিতে পারবে, না কি বুধবার সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। অবশেষে দেখা গেল, মঙ্গলবার রাত্রি ১২টা ২৫ মিনিট নাগাদ তাঁকে স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। তার পরে নিজাম প্য়ালেসে নিয়ে আসে সিবিআই।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির মামলা থেকে আগেই মুক্তি পেয়েছিলেন ‘কাকু’। তবে প্রেসিডেন্সি জেল হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিলেন ‘কাকু’। সোম ও মঙ্গলবার শুনানির জন্য তাঁকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে উপস্থিত করানো হয়েছিল।