দুই নাবালিকার শ্লীলতাহানির অভিযোগ এবং তা নিয়ে বচসা থেকে অবরোধ, তুমুল অশান্তি। পথ অবরোধ তুলতে গিয়ে পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বুধবারের ময়নাগুড়ি। পুলিশকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পাল্টা পুলিশ লাঠি চার্জ করে, কাদানে গ্যাস ছোড়ে বলে দাবি স্থানীয়দের। ময়নাগুড়ি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনীর পাশাপাশি এলাকায় নামানো হয় RAF।
সূত্রের খবর, ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার বিকালে। দুই ছাত্রী টিউশন পড়ে বাড়ি ফিরছিল। সেই সময় এলাকার দু-তিন জন ছেলে ওই ছাত্রীদের কটুক্তি করে। দুই নাবালিকা এক যুবককে চিনতে পেরেছিল। বুধবার সকালে ওই যুবকের বাড়িতে যায় নাবালিকাদের বাড়ির লোক।
অভিযোগ, ওই যুবক জানায়, সে কিছুই জানে না। সেখানে ছিলও না। এই নিয়েই কথা কাটাকাটি শুরু হয়। অভিযোগ, ছেলেটির বাড়ির লোকজন নাবালিকাদের বাড়ির লোকজনকে ঠেলাঠেলি করে। তাতেই অশান্তি বাড়ে। প্রতিবাদে ময়নাগুড়ি চ্যাংড়াবান্ধা এশিয়ান হাইওয়ে অবরোধ করে নাবালিকাদের পরিবার। দাবি তোলে, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে হবে।
অবরোধের খবর পেয়ে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অবরোধকারীদের উঠতে বললে, পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অভিযোগ, পুলিশ ও অবরোধকারীদের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়।
কথা কাটাকাটি থেকে ধাক্কাধাক্কি। পুলিশকে বেধড়ক মারা হয় বলেও অভিযোগ। রাস্তার ধারে একটি দোকানে প্রচুর কাচের বোতল রাখা ছিল। সেই বোতল পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি উত্তেজিত জনতা পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় জলপাইগুড়ির এসপি উমেশ গণপত খণ্ডবহালে।
এর পর আরও বড় টিম আসে পুলিশের। লাঠি উঁচিয়ে ধাওয়া দিতেই এশিয়ান হাইওয়ে অবরোধমুক্ত হয়। তবে তার আগে দীর্ঘক্ষণ এই পথ বন্ধ ছিল। এই মুহূর্তে এলাকা থমথমে। পুলিশ টহল দিচ্ছে।