• নার্সিংহোমের লাইসেন্স নিয়ে ‘জালিয়াতি’, CMOH-এর সামনেই বিস্ফোরক বিধায়ক
    এই সময় | ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪
  • আরজি কর আন্দোলনের সময় মুখ থুবড়ে পড়েছিল সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা। সরকারি পরিষেবার সর্বনাশে পৌষ মাস দেখার সুযোগ পেয়েছিল বেসরকারি হাসপাতালগুলো। তবে, বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে একগুচ্ছ অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন জেলায়। নার্সিংহোমের লাইসেন্স নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে বুধবার জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সামনেই সরব হলেন বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস।

    প্রোগ্রেসিভ নার্সিংহোম অ্যান্ড হসপিটাল অ্যাসোসিয়েশনের অষ্টম বার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানেই উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস। অনুষ্ঠানের মাঝেই বিধায়ক বলেন, ‘স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে বেনিয়মের অভিযোগ থাকলেও সেই নার্সিংহোমের লাইসেন্স ভিন্ন নামে করে দেওয়া হচ্ছে।’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত CMOH জয়রাম হেমরম-এর সামনেই বিধায়ক বলেন, ‘আজকে লাইসেন্স বাতিল হতেই কাল একই জায়গায় অন্য নামে লাইসেন্স, নাম বদলে নার্সিংহোমের লাইসেন্স কেন দেওয়া হচ্ছে?

    জেলার একাধিক নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে বেনিয়মের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। উল্লেখ্য, এক সময় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পরিষেবা নিয়ে রেকর্ড গড়েছিল পূর্ব বর্ধমান জেলা। কিন্তু ২১ সালের পর থেকে ছন্দপতন হতে শুরু করে। নার্সিংহোমগুলির একাংশের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত বেশি বিল করা ও অন্য দিকে টিপিএ (থার্ড পার্টি অ্যাডমিনিস্ট্র্টের)-দের অনেক ক্ষেত্রে কম টাকা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। একাধিক নার্সিংহোমের লাইসেন্স বাতিলও করা হয়েছে।

    তবে, CMOH জয়রাম হেমরম বলেন, ‘বিধায়ক একটি অভিযোগ তুলেছেন। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখব, কোন কোন নার্সিংহোমের লাইসেন্স বাতিল হলেও ফের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু নার্সিংহোমগুলির বিরুদ্ধে পরিষেবা নিয়েও নানা অভিযোগ রয়েছে, আমরা তাদেরকে নোটিস দিচ্ছি।’ যদিও বিধায়কের দাবি, বর্ধমানের একাধিক নার্সিংহোম সাধারণ মানুষকে কার্যত ‘লুট’ করছে। প্রতি মুহূর্তে তা নিয়ে অভিযোগ পাচ্ছেন বলে দাবি বিধায়কের। চিকিৎসার পরিকাঠামো না থাকা সত্ত্বেও রোগী ভর্তি করে রেখে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। কড়া পদক্ষেপ না নেওয়া হলে আগামী দিনে CMOH অফিস ঘেরাও করে আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন বিধায়ক।

  • Link to this news (এই সময়)