গত ৮ ডিসেম্বর পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূল নেতা গুরুপদ মণ্ডলের বাড়িতে হামলার অভিযোগ ওঠে বিজেপি-আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। গুরুপদের দাবি, ওই হামলার ঘটনায় তাঁর এক আত্মীয়ের মৃত্যু হয়েছে। সেই মর্মে নন্দীগ্রাম থানায় দু’টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ তদন্তে নেমে অভিজিৎ মাইতি-সহ এলাকার বেশ কয়েক বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। এর পরেই বিজেপির ২৬ জন কর্মী হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, একই ঘটনায় কী ভাবে দু’টি এফআইআর দায়ের হতে পারে? তা ছাড়া, শুধুমাত্র বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত থাকায় তাঁদের ফাঁসানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বিজেপি কর্মীরা।
বুধবার মামলাকারীদের আইনজীবী আদালতে সওয়ালে বলেন, প্রথমে এফআইআরে চার জনের নাম ছিল। পরে বাকিদের নাম যুক্ত করা হয়েছে। ফলে পুলিশের কাছ থেকে নিরপেক্ষ তদন্ত আশা করা যায় না। মামলাটি সিবিআইকে দিয়ে তদন্ত করানো হোক। যার প্রেক্ষিতে বিচারপতি ঘোষের প্রশ্ন, ‘‘তদন্ত কোন সংস্থা করবে সেটা কি অভিযুক্তেরা ঠিক করতে পারেন? অভিযুক্তদের তদন্তকারী সংস্থা বাছাইয়ের সুযোগ রয়েছে কি?’’ যার প্রেক্ষিতে মামলাকারীদের আইনজীবী জানান, রাজনৈতিক কারণে ওই ঘটনায় পুলিশ সঠিক তদন্ত করতে পারবে না বলে মনে করা হচ্ছে। শেষমেশ হাই কোর্টে জানিয়েছে, পরবর্তী শুনানির দিন সংশ্লিষ্ট মামলার কেস ডায়েরি রাজ্যকে আদালতে জমা করতে হবে।