• কেন্দ্র রাজ্যকে একযোগে আক্রমণ শানিয়ে রাজভবন অভিযান যুব কংগ্রেসের, শামিল অধীর-শুভঙ্করও
    আনন্দবাজার | ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪
  • কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদীর সরকার এবং পশ্চিমবঙ্গের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে একযোগে আক্রমণ শানিয়ে রাজভবন অভিযান করল যুব কংগ্রেস নেতৃত্ব। বুধবার পশ্চিমবঙ্গ যুব কংগ্রেসের সভাপতি আজহার মল্লিক রাজভবন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন। সেই অভিযানে যোগ দেন প্রদেশ কংগ্রেসের প্রবীণ নেতারাও। মূলত তিনটি ইস্যুকে সামনে রেখে এই অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল। দুর্নীতির কারণে শিল্পপতি গৌতম আদানিকে গ্রেফতার, দেশের বেকারত্ব কমানো এবং আরজি করের ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবি তুলে এই অভিযান করেন কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা।

    ক্যানিং স্ট্রিটের একটি অস্থায়ী মঞ্চ গড়ে সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে একে একে বক্তৃতা করেন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী, প্রাক্তন সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার, অমিতাভ চক্রবর্তীরা। পরে যুব কংগ্রেস কর্মীরা রাজভবনের দক্ষিণ দরজায় বিক্ষোভ দেখাতে গেলে তাঁদের গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। পরে যদিও নেতাদের জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়।

    বিক্ষোভ সমাবেশে রাজ্যে জাল পাসপোর্ট তৈরির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন অধীর। লোকসভায় কংগ্রেসের প্রাক্তন দলনেতা বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ জালিয়াতের রাজ্যে পরিণত হয়েছে। কালো টাকা পাবেন, ড্রাগস পাবেন, অস্ত্র পাবেন, জাল পাসপোর্ট পাবেন। এখান থেকে মহিলা পাচার হয়। দেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ পাচার করা হয় শিশুদের মাধ্যমে। এখানে সব পাবেন, ভারতের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ হচ্ছে অপরাধের স্বর্গরাজ্য। তাই এই অভিযোগের ভিত্তিতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। আমার তো মনে হচ্ছে, যা পাওয়া গিয়েছে, তা হিমশৈলের চূড়া মাত্র।’’

    অন্যদিকে যুব কংগ্রেস নেতা অর্ঘ্য গণ বলেন, ‘‘এআইসিসির নির্দেশে আমরা রাজভবন অভিযান করলাম। দুর্নীতির অভিযোগ যখন উঠেছে, তখন তাঁকে গ্রেফতার করা উচিত। আমরা সেই দাবি তুলেছি আমাদের কর্মসূচিতে। সঙ্গে আরজি কর হাসপাতালে নিহত মহিলা চিকিৎসক যাতে দ্রুত বিচার পান, সেই দাবির পক্ষেও যুব কংগ্রেস সরব হয়েছে।’’

  • Link to this news (আনন্দবাজার)