দিঘায় বেড়াতে গিয়ে প্রিয়জনকে স্কুটিতে বসিয়ে এক সৈকত থেকে আর এক সৈকতে উড়ে চলেছেন। স্বল্প খরচে মন্দারমণি টু নিউ দিঘা পৌঁছে যাচ্ছেন নিমেষেই। অনেকেরই মনে এই বাসনা রয়েছে। গোয়ার সমুদ্র সৈকতে এই ধরনের স্কুটি বা বাইক ভাড়া নেওয়ার সুযোগ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরেই। নতুন বছরের শুরুতেই দিঘার পর্যটকদের জন্যেও রয়েছে এ বার সুখবর! দিঘার সৈকতেও শুরু হয়েছে এই স্কুটি পরিষেবা।
দিঘাকে দূষণ মুক্ত রাখতে ‘ই-বাইক’ পরিষেবা চালু হয়েছে। ওল্ড দিঘার বিশ্ব বাংলার গেটের উল্টোদিকেই মিলছে ‘ই বাইক রেন্টাল’। ‘গো গ্রীন দিঘা’ নামে একটি সংস্থার দায়িত্ব থাকা সুমিত ঘোষ বলেন, ‘রাজ্যের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র দিঘা। দিঘাকে সুস্থ ও সুন্দর রাখাটা সরকারের পাশাপাশি সাধারণ মানুষেরও দায়িত্ব। দিঘাকে ক্লিন ও গ্রীন রাখতে পর্যটকদের জন্য ‘ই বাইক রেন্টাল’ পরিষেবার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। ডিসেম্বর মাস থেকেই পরিষেবা পাচ্ছেন পর্যটকেরা।’
কেমন ভাড়া ই-বাইকের?
একটি ই-বাইকে ৪ ঘণ্টার জন্য ৫০০ টাকা, ৬ ঘণ্টার জন্য ৬০০ টাকা খরচ করে ৪০ কিমি ঘুরতে পারবেন। যদি কেউ ৮০ কিমি জায়গা ঘুরতে চান, তার জন্য বিশেষ ছাড় দিয়ে ৮ ঘণ্টার জন্য ৭০০ টাকা, ১২ ঘণ্টার জন্য ৯০০ টাকা খরচ করতে হবে। পরিষেবা পেতে হলে প্রথমে ১৫০০ টাকা ও যে কোনও একটি পরিচয়পত্র জমা করতে হবে। রাস্তায় কোনও সমস্যায় পড়লে তার পরিষেবা দ্রুত দেওয়া হবে। একটি বাইকে দু’জন সঙ্গে একজন ছোটো বাচ্চাকে নিয়ে ভ্রমণ করতে পারবেন।
বর্তমান সময়ে ওল্ড দিঘায় একটি কাউন্টার খোলা হয়েছে। আগামী দিনে মন্দারমণি, তাজপুর, শংকরপুর-সহ জেলার অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রে পরিষেবা চালু করা হবে। পরিষেবা গ্রহণ ও বাইক রেন্টাল নেওয়ার পর কিছু সমস্যায় পড়লে যোগাযোগের জন্য ০৩২২০১৪৪৩১ অথবা ৯১২৩৭৮৬৯৬৬ নম্বর যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের এক্সিকিউটিভ অফিসার অপূর্বকুমার বিশ্বাস জানান, আগে ‘ADELINE’ নামক একটি সংস্থার সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছিল। বিভিন্ন কারণে সেই ই-বাইক পরিষেবা চালু করা যায়নি। বৃহস্পতিবার সংস্থার প্রতিনিধিরা আসবেন। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। ইতিমধ্যে যে বেসরকারি সংস্থা পরিষেবা দিয়ে চলেছে, তা পর্যটকদের জন্য পরিবেশে উপযোগী হয়ে কাজ করছে।