আইএমএর রাজ্য শাখার সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরেই যুক্ত রয়েছেন শান্তনু। রাজ্য শাখার সম্পাদক পদেই ছিলেন এত দিন। কয়েক মাস আগে শান্তনু নিজেই জানিয়েছিলেন, তিনি আইএমএর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান না। ভোটে না লড়ার বিষয়টি ‘ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত’ বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। তবে পরে সিদ্ধান্ত বদলে নির্বাচনে লড়েন তিনি। পুনরায় জয়ীও হন। এই নিয়ে সাত বার চিকিৎসক সংগঠনের সম্পাদক হিসাবে নির্বাচিত হলেন তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ। বর্তমানে রাজ্যের কোনও সরকারি হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির পদে নেই শান্তনু। সম্প্রতি রাজ্যের ২৪টি মেডিক্যাল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির সরকারি প্রতিনিধিদের নাম ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য দফতর। সেই তালিকাতেও জায়গা পাননি তৃণমূলের চিকিৎসক-নেতা। এই আবহে বুধবার ফের আইএমএর রাজ্য শাখায় স্বপদে ফিরলেন শান্তনু।
তবে এ বারের নির্বাচনে অন্যতম নজরকাড়া বিষয় হল বাউন্সার নিয়োগ। একটি চিকিৎসক সংগঠনের পদাধিকারী নির্বাচন চলছে। তার গণনার সময়ে গোলমাল ঠেকাতে বাউন্সার নিয়োগ সচরাচর দেখা যায় না। যদিও সম্প্রতি কাঁথির এক সমবায় নির্বাচনকে কেন্দ্র করেও এক ‘বিরল’ দৃশ্য দেখা গিয়েছিল। সমবায় নির্বাচনের জন্য মোতায়েন করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। এ বার আইএমএর গণনায় দেখা গেল বাউন্সারদের।
কিন্তু কেন একটি চিকিৎসক সংগঠনের ভোটগণনায় বাউন্সার নিয়োগ করতে হল? এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়া ‘দুঃখজনক’ বলেই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন শান্তনু। তবে তাঁর দাবি, কয়েক মাস আগে হাওড়ায় সংগঠনের বৈঠকের সময় কয়েক জন চিকিৎসক বহিরাগত গুন্ডাদের ব্যবহার করে তাণ্ডব চালিয়েছিলেন। এ বার গণনাকে কেন্দ্র করেও তেমন কিছু হতে পারে বলে আশঙ্কা ছিল। সেই আশঙ্কা থেকেই বাউন্সার নিয়োগ করতে হয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের চিকিৎসক নেতার।