রানাঘাটে নাবালিকা ধর্ষণে অভিযুক্তের ৭ বছরের কারাদণ্ড
বর্তমান | ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, রানাঘাট: ধর্ষণে দোষী সাব্যস্তকে সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত। মঙ্গলবার রানাঘাট আদালত সুকুমার বিশ্বাস নামে ব্যক্তিকে ১৪ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। বুধবার সাজা ঘোষণা করেন বিচারক। এদিকে, নিগৃহীতাকে ন্যায়বিচার পাইয়ে দিয়ে নিজেদের দাবি করছে রানাঘাট জেলা পুলিস। রানাঘাট থানা এলাকার বাসিন্দা এক নাবালিকাকে তার বাবা-মায়ের অনুপস্থিতিতে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে সুকুমারের বিরুদ্ধে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস গ্রেপ্তার করে সুকুমারকে। মাঝে দীর্ঘদিন সাক্ষ্য প্রমাণ এবং শুনানি চলে। নেওয়া হয় নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দিও। তবে অভিযোগ দায়ের করার পর নিগৃহীত ও তার পরিবার বাংলাদেশে চলে যায়। ফলে দীর্ঘদিন অভিযোগকারীর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তারপর দুই দেশের পুলিসের মধ্যে যোগাযোগে ভার্চুয়াল মাধ্যমে সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয় নিগৃহীতা ও তার পরিবারের। আন্তঃরাষ্ট্র সাক্ষ্য গ্রহণে প্রচুর জটিলতা এবং বাধা বিপত্তি থাকলেও একপ্রকার একার উদ্যোগেই অসম্ভবকে সম্ভব করে তোলেন রানাঘাট জেলা পুলিসের সুপার কুমার সানি রাজ।
বুধবার সাজা ঘোষণার পর রানাঘাট জেলা পুলিসের পক্ষ থেকে এএসডিপিও সবিতা গটিয়াল বলেন, ‘আমাদের এসপি স্যার অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন একজন নিগৃহীতাকে বিচার পাইয়ে দেওয়ার জন্য। আসলে, নিগৃহীতা যে দেশেই থাকুক না কেন, তাকে ন্যায় বিচার পাইয়ে দেওয়ার দায় পুলিসের। আমাদের মহিলা থানা অত্যন্ত ভাল কাজ করেছে। অপরাধ প্রমাণ করা গিয়েছে সমস্ত দিক থেকে। গোটা বিষয়টি রানাঘাট জেলা পুলিসের একটি বড় সাফল্য।’ মামলার তদন্তকারী আধিকারিক সাব-ইন্সপেক্টর কাজল চক্রবর্তীকেও শুভেচ্ছা বার্তা পাঠান পুলিস সুপার। সরকারি আইনজীবী এবং পুলিস মহলের দাবি, জয়নগর এবং মুর্শিদাবাদের পর রানাঘাটেও ধর্ষণের অপরাধীকে সাজার ব্যবস্থা করা রাজ্য পুলিসের দক্ষতাকে আরও স্পষ্ট করল।