• বড়দিনে ঝাড়গ্রামে পর্যটকের ঢল নামবে, আশায় ব্যবসায়ীরা
    বর্তমান | ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রাম: এবারে বড়দিনে পর্যটকের ঢল নামতে চলেছে ঝাড়গ্রামে। ডিসেম্বরের ২৫ থেকে ২৮ পর্যন্ত জেলার সমস্ত হোটেল, হোম স্টে ও গেস্ট হাউসে কোনও ঘর ফাঁকা নেই বলে জানা গিয়েছে বিভাগীয় প্রশাসন ও ঝাড়গ্রাম ট্যুরিজম অ্যান্ড ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে। আরও জানা গিয়েছে, ডিসেম্বরের শুরু থেকেই ঝাড়গাম জেলায় প্রতিদিন গড়ে আড়াই হাজার পর্যটক থাকছেন। এই হিসেব বলছে, গত বছরে তুলনায় এবার পর্যটকের ভিড় বেশি। 


    মূলত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানেই কলকাতা ও লাগোয়া জেলা থেকে পর্যটকরা ঝাড়গ্রামে আসছেন। কলকাতা থেকে দূরত্ব মাত্র ১৭০ কিলোমিটার হওয়ায় অনেকেই ছুটি কাটানোর জন্য ঝাড়গ্রামকে বেছে নিচ্ছেন। সবুজে মোড়া পাহাড়, অরণ্যের স্নিগ্ধ পরিবেশের টানে sএই সময়ে বেলপাহাড়ীর ঘাঘরা জলপ্রপাত ও খাঁদারানি লেগ ড্যাম এলাকায় রোজ মেলার মতো ভিড় হচ্ছে। কাঁকড়াঝোর, ময়ূরঝর্না ও লালজল পাহাড়েও পর্যটকের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। 


    জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রাম জেলায় সরকারি রেজিস্ট্রিকৃত হোম স্টের সংখ্যা ১০৩। রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন জানানো জানানো হয়েছে এমন আরও ৫০টি হোম স্টে আছে। পাশাপাশি স্বীকৃত হোটেল ও গেস্ট হাউসের সংখ্যা প্রায় ৫০। হোটেল ও গেস্ট হাউসগুলিত দেড় হাজার ও হোম স্টেগুলিতে ১ হাজার ধরে জেলায় আড়াই হাজার পর্যটকের থাকার বন্দোবস্ত আছে। থাকার সুবিধা পাচ্ছে বলেই পর্যটকের ভিড় ক্রমশ বাড়ছে। দুই ধরনের পর্যটক ঝাড়গ্রামে আসছেন। 


    কাঁকড়াঝোড় গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, এই ক’টা দিন পর্যটকের ব্যাপক ভিড় হচ্ছে। হোম স্টেগুলিতে দেশি মুরগির মাংস ও জঙ্গলের কুরকুটের চাহিদা আকাশছোঁয়া। 


    স্থানীয় মানুষ কুরকুট ও মুরগি বিক্রি করে মোটা টাকা রোজগার করতে পারছেন। সেই সঙ্গে এলাকার বেকার যুবকরা অনেকেই পর্যটকদের গাইডের কাজ করে রোজ ৩০০ টাকা রোজগার করছেন। প্রত্যন্ত এলাকার দোকানপাটে বিক্রিবাটা অনেকখানি বেড়েছে।


    এই নিয়ে ফাউন্ডার অব ঝাড়গ্রাম ট্যুরিজম অ্যান্ড ট্রাভেলস অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গল গভর্নিং বডির সদস্য সুমিত দত্ত বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর পর্যটকের ভিড় বেশি। ডিসেম্বরের শেষের ৭-১০ দিন ব্যাপক বুকিং রয়েছে। এই সময়ে ঝাড়গ্রাম জেলায় রোজ গড়ে আড়াই হাজার পর্যটক থাকছেন। শহর কলকাতা থেকে সামনে হওয়ায় দক্ষিণবঙ্গের ঝাড়গ্রাম জেলাকে পর্যটকরা বেছে নিয়েছেন।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)