নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: নাবালিকাকে ধর্ষণের দায়ে এক প্রতিবেশীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত। বুধবার জলপাইগুড়ি বিশেষ পকসো আদালতের বিচারক রিন্টু শূর ওই সাজা ঘোষণা করেন। মামলায় সরকার পক্ষের আইনজীবী দেবাশিস দত্ত বলেন, আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। অনাদায়ে আরও দু’মাসের জেল। সেইসঙ্গে নির্যাতিতা নাবালিকাকে চার লক্ষ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ডিস্ট্রিক্ট লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটিকে। এদিন সাজা ঘোষণার পর আদালত চত্বরে কান্নায় ভেঙে পড়ে অভিযুক্ত।
আদালত সূত্রে খবর, ঘটনাটি ২০২১ সালের। ওই বছরের ২৯ নভেম্বর ধূপগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। নাবালিকার বাবা-মা মাঠে কাজে গিয়েছিলেন। বাড়িতে একাই ছিল ওই নাবালিকা। এই সুযোগে অভিযুক্ত প্রতিবেশী নাবালিকার বাড়িতে যায়। তারপর ঘরে ঢুকে কাপড় দিয়ে নাবালিকার মুখ বেঁধে ফেলে। মেঝেতে ফেলে নাবালিকার উপর যৌন অত্যাচার চালায় অভিযুক্ত। মামলার সরকারি আইনজীবী বলেন, নাবালিকার গোঙানি শুনতে পেয়ে রাস্তা দিয়ে যাওয়া আর এক প্রতিবেশী বিষয়টি দেখার চেষ্টা করেন। তখনই তিনি অভিযুক্তকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। কিন্তু ভয় দেখিয়ে তার হাত ছাড়িয়ে পালায় অভিযুক্ত। পরে নাবালিকার বাবা-মা ফিরে এলে গোটা ঘটনাটি জানতে পারেন তাঁরা। যে প্রতিবেশী হাতেনাতে ধরেছিলেন ওই অভিযুক্তকে, তাঁর কাছ থেকেও জানতে পারেন বিষয়টি। এরপরই ধূপগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে নাবালিকার পরিবার। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। মামলায় ১১ জন সাক্ষ্য দেন।
এনিয়ে গত কয়েক সপ্তাহে জলপাইগুড়ির বিশেষ পকসো আদালতে বেশ কয়েকটি সাজা ঘোষণা হল। পুলিস সুপার খণ্ডবাহালে উমেশ গণপত বলেন, দ্রুত তদন্ত শেষ করে পুলিস চার্জশিট জমা দেওয়ায় খুবই কম সময়ের মধ্যে সাজা ঘোষণা হচ্ছে আদালতে।
(সাজা ঘোষণার পর কান্নায় ভেঙে পড়েছে আসামী। - নিজস্ব চিত্র।)