চাঁচলের গৌড়িয়া থেকে বোচামোড় পর্যন্ত ৪ কিমি রাস্তা আজও বেহাল
বর্তমান | ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, চাঁচল: বছর শেষ হতে চললেও ভাঙা রাস্তা সংস্কার হল না মালদহের চাঁচল-১ ব্লকের গৌড়িয়া ট্যাংরিয়াপাড়ায়। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে চলছে ১৫টি গ্রামের কয়েক হাজার পরিবারের যাতায়াত। দীর্ঘ আবেদনের পরেও সংস্কার না হওয়ায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। জনপ্রতিধিদের উদাসীনতাকেই বাসিন্দারা দায়ী করেছেন। মূলত ওই এলাকায় গণ পরিবহণ বলতে ভরসা তিন চাকার টোটো। কিন্তু ভাঙা রাস্তায় টোটোতে যাত্রা করতে গিয়ে দুর্ভোগে পড়ছেন এলাকার বাসিন্দারা। একাধিকবার টোটো উল্টে দুর্ঘটনাও ঘটেছে। তবুও হুঁশ ফেরেনি কারও।
বর্তমানে গৌড়িয়া ট্যাংরিয়াপাড়া থেকে বোচামোড় পর্যন্ত ৪ কিমি রাস্তা একেবারে খনাখন্দে পরিণত হয়েছে। কোথাও ফাটল ধরেছে, আবার কোথাও কালভার্টের ধারে রাস্তায় ধস নেমেছে। বিপজ্জনক ওই রাস্তায় সবাই ঝুঁকি নিয়ে চলছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভগবানপুর, নিমগাছি, মল্লিকনাড়া, জসুয়া, মহানন্দপুর সহ একাধিক গ্রামের মানুষ ওই রুট দিয়ে চলাচল করে। খরা হোক বা বর্ষা, সারা বছরই ওই রাস্তায় চলতে গিয়ে দুর্ভোগে পড়েন বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দা ইনশান আলির কথায়, রাস্তা খারাপের জন্য পণ্যবাহী গাড়ি এলাকায় ঢোকে না। ফলে ফসল বিক্রি করতে বাজারে নিয়ে গেলে বেশি টাকায় ছোটগাড়ি ভাড়া করতে হয়। এলাকার জনপ্রতিনিধিদের এনিয়ে কোনও হেলদোল নেই।
আমির সোহেল নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, কয়েক মাস আগে দু’টি টোটো উল্টে তিন জন জখম হয়েছিলেন। পঞ্চায়েতে সংস্কারের আবেদন করা হলে ইটের টুকরো ফেলা হয়। স্থায়ীভাবে মেরামতের কোনও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। এক বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলি বলেন, হাসপাতালে প্রসূতি ও রোগীদের নিয়ে যাওয়ার সময় ভয়ে থাকে পরিবার। কখন দুর্ঘটনা ঘটবে বলা যায় না। দ্রুত রাস্তা সংস্কার হলে নির্ভয়ে চলাচলের ভরসা পাওয়া যাবে। এপ্রসঙ্গে স্থানীয় চাঁচল-১ পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ জহুর আহমেদ বলেন, রাজ্য সরকার গ্রামীণ উন্নয়নে জোর দিয়েছে। এখানে ৪ কিমি রাস্তা পাকা করার জন্য পথশ্রী প্রকল্পে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।- নিজস্ব চিত্র