আরও ৩২ শতাংশ বেশি এলাকায় সেচের সুবিধা নিশ্চিত করছে রাজ্য
বর্তমান | ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আগামী ৫ জানুয়ারি থেকে রবি চাষের জন্য সেচের জল ছাড়া শুরু হবে। জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকেই ছাড়া হবে বোরো চাষের জল। শুধু সঠিক সময়ে জল ছাড়াই নয়, একইসঙ্গে কৃষিকাজের জন্য প্রায় ৩২ শতাংশ বেশি এলাকায় সেচের জল বণ্টন নিশ্চিত করবে রাজ্য সরকার। রবি ও বোরো চাষের জন্য যাতে কৃষকদের সেচের জল পেতে সমস্যা না-হয়, সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী, বুধবার নবান্নে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকটি হয় মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের নেতৃত্বে। ছিলেন সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া, বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না, কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার ও সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। সেচসচিব মণীশ জৈনের পাশাপাশি ছিলেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অন্য আধিকারিকরা এবং জেলা প্রশাসন ও ডিভিসির কর্তারা।
রবি ও বোরো চাষের জলসরবরাহ বৃদ্ধির জন্য সেচ ও ক্ষুদ্রসেচ দপ্তরের একাধিক পদক্ষেপ নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। রবি চাষের জন্য ২ লক্ষ ২৪ হাজার ১৪৪ একর এবং বোরোতে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার ৭৭৩ একর কৃষি জমিকে সেচের আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ক্ষুদ্রসেচ দপ্তরের উদ্যোগে রবি চাষের জন্য ৬ লক্ষ ৮৯ হাজার ৩৮৩ একর এবং বোরোতে ৩ লক্ষ ২ হাজার ৪৯৩ একর কৃষিজমিতে জল সরবরাহ সুনিশ্চিত করা হবে।
সেচযুক্ত এলাকা বাড়ানো হবে। ওইসঙ্গে লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে, যেসব প্রান্তিক এলাকায় সেচখালের জল একদম পৌঁছয় না, সেগুলি চিহ্নিত করা হবে। এজন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনগুলিকে। তবে একটি ব্লকের কোন কোন এলাকায় সেচের জল পৌঁছবে, তা নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেচের জল নিয়ে জনমানসে বিভ্রান্তি এড়াতেই এই নির্দেশ। একেবারে এলাকা ধরে ধরে পর্যালোচনা করা হয়েছে। সমস্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে বলে বৈঠকে জানিয়েছেন সেচমন্ত্রী। সেচের জল দিতে বিদ্যুৎ কোনও বাধা হবে না। আশ্বস্ত করেছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী স্বয়ং।