এই সময়: সল্টলেকের তিনটি সরকারি আবাসনে পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দিতে দেড় কোটি টাকা বরাদ্দ করল রাজ্য। বিধাননগর পুরনিগম সূত্রের খবর, নিউ টাউনের নতুন জল প্রকল্প থেকেই সল্টলেকের ফাল্গুনী, বনশ্রী এবং বিচিত্রা আবাসনে পানীয় জল সরবরাহ করা হবে। এক বছরের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে দাবি করছেন পুর দপ্তরের কর্তারা। নয়া প্রকল্পের সৌজন্যে উপকৃত হবেন প্রায় সাড়ে তিন হাজার বাসিন্দা।
নিউ টাউনের জল প্রকল্প থেকে ফাল্গুনী আবাসনে জল পৌঁছনোর জন্য ১ কোটি টাকা, বিচিত্রার জন্য ৯.১ লক্ষ টাকা এবং বনশ্রী আবাসনের জন্য ৩৭.১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ওই টাকায় নিউ টাউন থেকে পানীয় জল সরবরাহের জন্য পাইপলাইন বসানোর পাশাপাশি নতুন করে কয়েকটি জলাধার তৈরি করা হবে।
সল্টলেকে পুর পরিষেবার মানোন্নয়নে গত বৃহস্পতিবার বিধাননগর পুরনিগমের কাউন্সিলারদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সেখানেই সল্টলেকের আবাসনগুলিতে পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহের বিষয়টি উঠে আসে। তার পরে পুর দপ্তরের পক্ষ থেকে তিনটি আবাসনের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে বলে সরকারি সূত্রের খবর।
বর্তমানে এই তিনটি আবাসনে মূলত ভূগর্ভস্থ জলাধার থেকে জল সরবরাহ করা হয়। আবাসনের বাসিন্দাদের একাংশ দীর্ঘদিন ধরে গঙ্গার পরিস্রুত জল সরবরাহের দাবি তুলছিলেন। অবশেষে সেই দাবিপূরণ হওয়ায় খুশি তাঁরা।
ফাল্গুনী আবাসনের বাসিন্দা বিপ্লব মাইতি বলেন, ‘গঙ্গার জল পরিস্রুত করে সরবরাহের দাবি বহুদিনের। আশা রাখব, দ্রুত কাজ শেষ হবে।’ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞানের অধ্যাপক তড়িৎ রায়চৌধুরী বলেন, ‘কলকাতা বা বিধাননগর শুধু নয়, লাগোয়া এলাকাতেও মাটির নীচের জলে মিলছে আর্সেনিক ও নানা ধরনের ফ্লুওরাইড। যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। সে কারণেই গঙ্গার জলকে পরিস্রুত করে তা ব্যবহার করা উচিত।’
আবাসনের বাসিন্দাদের চাহিদা মেটাতে প্রতিদিন মাটি থেকে বেহিসেবি ভাবে পাম্প করে জল তোলা হয়৷ যে কারণে ভূগর্ভস্থ জলস্তর ক্রমশ নীচে নেমে যাচ্ছে। ফলে সল্টলেকের অন্যতম তিনটি বড় আবাসনে গঙ্গার জল পরিস্রুত করে সরবরাহ পরিবেশের জন্য ভালো খবর বলেই মনে করেন তড়িৎ। বিধাননগর পুরনিগমের জল সরবরাহ বিভাগের এক কর্তা জানান, খুব শিগগিরই ওই তিনটি আবাসনে পানীয় জল সরবরাহের কাজ শুরু হবে।