একে শীতে কাবু, তার উপরে দক্ষিণ রায়ের উপস্থিতি! বাঘের আতঙ্কে রাত জাগল গ্রাম। সুন্দরবনের কুলতলির মৈপীঠে লোকালয়ে বাঘের দেখা মিলেছে। এলাকাবাসীর দাবি, বুধবার ভুবনেশ্বরী গ্রামপঞ্চায়েতের গুড়গুড়িয়া গ্রামে বাঘ দেখা যায়। বৃহস্পতিবার সকালেও সেই বাঘ এলাকা ছাড়েনি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, স্থানীয় মাকড়ি নদীর চড় সংলগ্ন বনের মধ্যে এখনও লুকিয়ে রয়েছে বাঘবাবাজি। এ দিকে এই নদী যে হেতু লোকালয়ের একেবারে কাছে, তাই খুব আতঙ্কে রয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।
সূত্রের খবর, রাতে গভীর জঙ্গল থেকে বেরিয়ে মাকড়ি নদী পার করে লোকালয়ে চলে আসে বাঘটি। সেই সময় স্থানীয় দুই বাসিন্দা মোটরবাইকে চেপে ফিরছিলেন। এই অন্ধকারে রাস্তার উপর বাঘ দেখে ভয় পেয়ে যান তাঁরা। রাতেই বনদপ্তর ও মৈপীঠ উপকূল থানাতে খবর দেওয়া হয়।
আতঙ্কে মশাল জ্বালিয়ে রাত পাহারা দেন গ্রামবাসীরা। বাজি, পটকা ফাটিয়ে বাঘটিকে জঙ্গলে ফেরানোরও চেষ্টা করা হয়। রাতের পর সকালেও গ্রাম সংলগ্ন জঙ্গলে নজরদারি চালাচ্ছেন বনদপ্তরের কর্মীরা।
স্থানীয় বাসিন্দা খোকন দাস, লুৎফর মণ্ডলরা জানান, বাঘ এলাকাতেই আছে। তাঁদের দাবি, বনদপ্তর আরও তৎপর হয়ে বাঘকে নদীর ওপারে পাঠিয়ে দিক। স্থানীয় বাসিন্দা রুক্মিনী মান্না জানান, বাঘ গ্রাম ছাড়ল কি না, তা বুঝতে তাঁরা বাঘের পায়ের ছাপ অনুসরণ করেন। বৃহস্পতিবারও সেই ছাপ অনুসরণ করেই নদীর ধারে যান। কিন্তু বাঘের নদী পার হওয়ার কোনও ইঙ্গিতই মেলেনি।
২০২৩ সালেও কুলতলি ব্লকের অন্তর্গত মৈপীঠ উপকূল থানার গুড়গুড়িয়ায় গৌড়ের চক গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় বাঘের পায়ের ছাপ দেখা যায়। এর জেরে ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয় ওই এলাকার বাসিন্দাদের মনে। সেই বাঘ ধরতেই গ্রাম লাগোয়া মাকড়ি নদীর চর বরাবর ম্যানগ্রোভ ঝোপ ঝাড়কে চিহ্নিত করে লোহার খাঁচা পাতে বনদপ্তর। এ বারও তেমন কিছু ঘটে কি না, নজর সেদিকেই।