এই সময়: হুগলি নদীর ভাঙনে বিপজ্জনক হয়ে উঠছে নিমতলা শ্মশান। একই অবস্থা মায়ের ঘাটের পাম্পিং স্টেশন সংলগ্ন এলাকাও। যত দিন যাচ্ছে পাড়ের ভাঙনের নিমতলা ও মায়ের ঘাটের তলার মাটি ধসে নদীর গর্ভে মিশে যাচ্ছে। বুধবার এই বিপদ নিয়ে বন্দরের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বন্দর–কর্তাদের সবার আগে নিমতলা এবং মায়ের ঘাটকে বাঁচানোর জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান।
নিমতলা শ্মশানের বৈদ্যুত্যিক এবং কাঠের চুল্লিতে দাহ করতে শহর তো বটেই কলকাতা লাগোয়া জেলা থেকেও অনেকে আসেন। ফলে গঙ্গার ভাঙনে নিমতলা শ্মশানের ক্ষতি হলে তার প্রভাব হবে মারত্মক। বিষয়টি নিয়ে কলকাতা পুরসভার আধিকারিকরা দীর্ঘ দিন ধরেই চিন্তিত।
অন্য দিকে, কলকাতার উত্তর থেকে দক্ষিণ–পূর্ব অংশের বেশ কিছু ওয়ার্ডে মায়ের ঘাট পাম্পিং স্টেশন থেকে জয়হিন্দ প্রকল্পের আওতায় জল সরবরাহ করা হয়। তাই মায়ের ঘাটও নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হলে কলকাতার একটা বড় এলাকার মানুষ পানীয় জল নিয়ে সমস্যায় পড়বেন। তা–ও ভাবাচ্ছে পুরসভাকে।
মেয়র ফিরহাদ হাকিম এ দিন বলেন, ‘নিমতলা ও মায়ের ঘাট নিয়ে পোর্টের আধিকারিকদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন খুব দ্রুত এই দুই ঘাটের আমূল সংস্কারের কাজ শুরু হবে। পোর্ট এই কাজের প্রজেক্ট ডিটেল রিপোর্ট তৈরি শুরু করেছে বলে আমাদের জানিয়েছে।’
এ দিনের বৈঠকে পুর আধিকারিকদের সঙ্গে পোর্টে আধিকারিকদের আরও কয়েকটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে, বন্দর এলাকার নিকাশি পথগুলিকে পলিমুক্ত করে নিকাশি ব্যবস্থাকে আরও সচল করা। পোর্টের আধিকারিকরা কলকাতা পুরসভাকে জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই তাঁরা ডিসিল্টিং অর্থাৎ পলি উত্তোলনের কাজ শুরু করবেন।
এ ছাড়াও মিলেনিয়াম পার্কের লিজ় রিনিউ, পোর্ট তল্লাটে যাঁরা অস্থায়ী ভাবে বসবাস করছেন, তাঁদের জন্য বাংলার বাড়ি প্রকল্পে বাড়ি নির্মাণ এবং মল্লিকঘাট ফুল বাজারের সংস্কার নিয়েও দু’পক্ষের বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে পোর্টের কর্তারা উত্তরের বাগবাজার থেকে খিদিরপুর পর্যন্ত হুগলি নদীর দু’ধারের ঘাট সুন্দর করে সাজিয়ে দেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।