• জল-আলো পরিষেবা বন্ধ হবে চুঁচুড়ায়? বড় হুঁশিয়ারি পুরসভার অস্থায়ী কর্মীদের
    এই সময় | ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
  • পানীয় জল ও আলো পরিষেবা বন্ধের হুঁশিয়ারি চুঁচুড়া পুরসভার অস্থায়ী কর্মীদের। দীর্ঘ দু’মাস ধরে বেতন না পাওয়ায় তাঁরা আন্দোলনে নেমেছেন। একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও সুরাহা না মেলায় লাগাতার আন্দোলন শুরু করেছেন তাঁরা। এ বার জরুরি পরিষেবা থেকেও হাত গুটিয়ে নেওয়ার হুঁশিয়ারি কর্মীদের। অন্যদিকে শীঘ্রই সমস্যা মেটার ব্যাপারে অবশ্য আশ্বাস দিয়েছেন পুরসভার চেয়ারম্যান।

    পুরসভার আন্দোলনরত এক কর্মী বলেন, ‘পুরসভার সমস্ত অস্থায়ী কর্মীরা একসঙ্গে কর্মবিরতি পালন করছেন। যে ডেডলাইন দেওয়া হয়েছিল, সেটা মঙ্গলবারই শেষ হয়েছে। কোনও সমাধান না হলে একাধিক পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হবেন এই এলাকার মানুষ।’

    বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় মহকুমাশাসক, পুরপ্রধান অমিত রায় ও অন্যান্য পুর আধিকারিকদের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন কর্মীরা। এর আগে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছিল, ১৫ দিনের মধ্যে সবরকম সমস্যা মিটে যাবে। সেই ডেডলাইন পেরিয়েছে। কিন্তু বেতন না মেলায় জল ও আলো পরিষেবা বন্ধ রাখার ব্যাপারেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অস্থায়ী কর্মীরা। এক কর্মীর কথায়, ‘আমাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। এখন আর কিছু করার নেই। আমাদের প্রত্যেকের বাড়িতেও সংসার রয়েছে। সেটা নিয়ে কেউ ভাবছেন না।’

    পুরপ্রধান অমিত রায় বলেন, ‘সমস্যা মিটে যাবে। আজ এসডিও অফিসে বৈঠক আছে। তার পর ঠিক হয়ে যাবে।’ অন্যদিকে, পুরসভার সিআইসি (স্বাস্থ্য) জয়দেব অধিকারী বলেন, ‘আমরা বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েছি। আট মাস আগে থেকে ফিন্যান্স অফিসার ও অর্থ দপ্তরের সিআইসি জানিয়েছিলেন পুরসভার আর্থিক অবস্থা খারাপ। কেউ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। সবাই সব জানে। জানি না এই সমস্যা কবে মিটবে।’

    বড়দিন ও নতুন বছরের আগে চুঁচুড়া শহর ভরে উঠেছে জঞ্জাল-আবর্জনায়। বেশ কিছু পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে নাগরিকদের। চুঁচুড়ার ইমামবাড়া, ব্যান্ডেল চার্চ-সহ একাধিক পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকের ভিড় উপচে পড়বে। তার আগে জল, আলোর মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবায় ব্যাঘাত ঘটলে সমস্যা চরমে উঠবে বলেই মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

  • Link to this news (এই সময়)