আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাঘের আতঙ্কের মাঝেই কাঁকড়া ধরার জন্য গিয়েছিলেন জঙ্গলে। সঙ্গে ছিলেন চারজন। কিন্তু মর্মান্তিক পরিণতি থেকে বাঁচাতে পারলেন না কেউই। প্রাণ গেল সংসয়ারের একমাত্র রোজগেরে ছেলের।
ঘটনাটি ঘটেছে বইটা বাঙ্গির জঙ্গলে। বৃহস্পতিবার সকালে কুলতলি ব্লকের মৈপিঠ থানা এলাকার বৈকুন্ঠপুরের বাসিন্দা কর্ণধর মন্ডল (২২)-সহ মোট ৫জন কাঁকড়া ধরার জন্য জঙ্গলে যান। নৌকা থেকে কাঁকড়া ধরার জন্য নদীতে নামতেই বাঘ ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁর উপর, তেমনটাই জানিয়েছেন সঙ্গীরা। তাঁরা বাঘের হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও প্রাণে বাঁচানো যায়নি তাঁকে। ২২ বছরের কর্ণধরের বাড়িতে স্ত্রী, ৭ বছরের মেয়ে ও বৃদ্ধ বাবা রয়েছেন। সংসারের একমাত্র রোজগেরে ছিলেন তিনি। জীবিকার কারণে এদিন সকাল ৮টা নাগাদ কাঁকড়া ধরার জন্য রওনা দেন। নিয়মিত কাঁকড়া ধরার জন্য যেতেন। বৈধ পাশও রয়েছে তাঁর কাছে।
বাঘের হামলার পর সঙ্গীরা লাঠি দিয়ে বাঘের উপর আঘাত করে। বাঘ ছেড়ে দেয়। বাঘের থেকে উদ্ধার করা গেলেও, প্রাণ বাঁচানো গেল না যুবকের। বাড়িতে নিয়ে আসার পথেই নৌকায় মৃত্যু হয়। আপাতত কুলতুলি ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁর দেহ। ঘটনার তদন্ত করছে কুলতুলি থানা ও বনদপ্তর।
অন্যদিকে মৈপিট কোস্টাল থানার ভুবনেশ্বরী গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্য গুড়গুড়িয়া গ্রামে মাকড়ি নদী পার হয়ে লোকালয়ে বাঘ আসে। বুধবার সন্ধে বেলা ২জন বাইক নিয়ে যাওয়ার সময় বাঘের সামনে পড়েন। তাঁদের চিৎকারে এলাকার লোকজন লাঠি নিয়ে বেরিয়ে পড়ে রাস্তার পাশে জমিতে বাঘের পায়ের ছাপ লক্ষ করেন। বনদপ্তরকে খবর দেওয়া হয় বনদপ্তরের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে টায়ার জ্বালিয়ে ফটকা ফাটালে, বাঘকে লোকালয় থেকে ফিরে যায়। বাঘের আতঙ্কে গৃহবন্দি মানুষজন।