বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ! অসম পুলিশের হাতে মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেপ্তার দুই ...
আজকাল | ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অভিযোগে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার দুই যুবক। বুধবার ভোরে হরিহরপাড়া থানা এলাকার বহড়ান পঞ্চায়েতের দুটি পৃথক এলাকায় স্থানীয় পুলিশ,পশ্চিমবঙ্গ এসটিএফ-কে নিয়ে হানা দেনঅসম পুলিশের এসটিএফ-এর আধিকারিকেরা। এরপর সেখান থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আব্বাস আলী এবং মিনারুল শেখ নামে দুই যুবককে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মিনারুলের বাড়ি বহড়ানের কেদারতলা এলাকায় এবং আব্বাসের বাড়ি নিশ্চিন্তমোড়- এর কাছে।
তবে এলাকার লোকজন কিছু বোঝার আগেই রাতের অন্ধকারে দুই যুবককে নিয়ে মুর্শিদাবাদ ছেড়ে অসমের উদ্দেশে বেরিয়ে গিয়েছে আসাম পুলিশের বাহিনী। পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃত যুবকের সঙ্গে আনসারুল্লা বাংলাদেশ এবং জেএমবি মডিউল-এর যোগ রয়েছে। ধৃত দুই যুবকের বিরুদ্ধে অসম পুলিশ বিএনএস-এর ৬১(২),১৪৭,১৪৮ এবং ১৪৯ ধারা এবং ইউএপিএ-র ১০,১৩,১৬, ১৮(বি) ও ২০ ধারায় মামলা রুজু করেছে। পাসপোর্ট আইনের ১২ (১)(এ) ধারাতেও ধৃতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
মিনারুলের বিরুদ্ধে আগে কোনও অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ স্থানীয় লোকজন জানাতে পারেনি। ওই ব্যক্তি এলাকায় পাম্প মেশিন সারাই করত বলে জানা গিয়েছে। ধৃতের দাদা শামসুর শেখ বলেন, ’দীর্ঘদিন ধরে ভাইয়ের শরীর খুব খারাপ। ও জলের পাম্প মেশিন সারাই করত। মাঝে মধ্যে দিনমজুর হিসেবেও কাজ করত। পুলিশ ওকে কী কারণে ধরেছে আমরা ঠিক জানি না। প্রশাসন যে ব্যবস্থা নেবে আমরা তা মেনে নেব।‘
অন্যদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আব্বাস আলী এলাকায় যথেষ্ট 'কুখ্যাত' ছিল। সম্প্রতি একটি মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে কাজ শুরু করলেও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা জানিয়েছেন, এর আগেও একাধিকবার আব্বাস গ্রেপ্তার হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নারী পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
হরিহরপাড়া থানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন-দুই যুবকের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে কয়েকটি মোবাইল ফোন, পেনড্রাইভ এবং বেশ কিছু আপত্তিকর নথি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, সম্প্রতি অসম পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া কয়েকজন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তারা জানতে পারে মুর্শিদাবাদে বসে বাংলাদেশের জঙ্গিদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে বাংলাদেশ থেকে আতঙ্কবাদীদের ভারতে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছে ওই দুই যুবক। এরপরই মুর্শিদাবাদে আসাম পুলিশের হানা বলে জানা গিয়েছে