বীরভূমের বল্লভপুর ডিয়ার পার্ক পর্যটকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণের জায়গা। সেই বল্লভপুরে এ বার একসঙ্গে অন্তঃসত্ত্বা ২২টি হরিণ। স্বাভাবিকভাবেই হরিণগুলিকে বিশেষ পর্যবেক্ষণ এবং চিকিৎসার মধ্যে রাখছে বনদপ্তর। খাবারের দিকেও বিশেষ যত্ন নেওয়া হচ্ছে।
১৯৬৭ সালে বোলপুরের শান্তিনিকেতনে প্রতিষ্ঠিত হয় এই ডিয়ার পার্ক। চিতল হরিণ সংরক্ষণের জন্যই খ্যাত এই উদ্যান। বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বল্লভপুর ডিয়ার পার্ক থেকেই প্রচুর হরিণ নিয়ে যাওয়া হয় জলদাপাড়া, গোরুমারা ও বক্সায়। স্বাভাবিকভাবেই এই ডিয়ার পার্কে হরিণের প্রজনন ও প্রসবের দিকে বাড়তি গুরুত্ব দেয় বনদপ্তর। জানা গিয়েছে, অন্তঃসত্ত্বা ২২টি হরিণ জানুয়ারি মাসের শেষের দিকেই প্রসবের সম্ভাবনা বলে জানিয়েছে বনদপ্তর। হরিণগুলিকে বিশেষ পর্যবেক্ষণ ও চিকিৎসার মধ্যে রাখা হচ্ছে সর্বক্ষণ।
বোলপুর বনদপ্তরের রেঞ্জার জ্যোতিষ বর্মন জানান, সাধারণত এই অভয়ারণ্যে খুব ভালো এবং সুস্থ হরিণ প্রসব হয়। তাই তাদের সর্বক্ষণ বিশেষ নজরে রাখা হচ্ছে। চিকিৎসকও নিয়মিত এসে তাদের পর্যবেক্ষণ করেন। চিকিৎসক যে ওষুধ দেন সেগুলো নিয়মিত দেওয়া হয়। এ ছাড়াও বন বিভাগের কর্মীরাও খেয়াল রাখছে হরিণগুলির উপর।
অন্য দিকে পশু চিকিৎসক দীপককুমার মণ্ডল বলেন, ‘গর্ভবতী থাকাকালীন হরিণদের নির্দিষ্ট একটি জায়গার মধ্যে রাখার চেষ্টা করা হয়। এ ছাড়াও তারা যাতে অন্য কোথাও চলে না যায় তার জন্য সেখানে পর্যাপ্ত খাবার দেওয়া হয়। ভিটামিন, মিনারেল এবং ক্যালসিয়াম প্রয়োজন মতো দেওয়া হয়। দেওয়া হয় লিভারের ওষুধও। জানা গিয়েছে, ভুট্টা ভুসি, সয়াবিন, ছোলা, সিজিনাল ভেজ, পাতা, ঝোলাগুড়, ঘাস রয়েছে তাদের খাদ্য তালিকায়।