অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে মহিলার শরীরে ধরা পড়ল অলৌকিক 'জিন' ...
আজকাল | ২০ ডিসেম্বর ২০২৪
আজকাল ওয়েবডেস্ক: নিজের শরীরে 'জিন' পুষে রেখেছেন। আর তাকে দিয়েই গ্রামের সমস্ত মানুষের চিকিৎসা করিয়ে সকলকে সুস্থ করে দেবেন। গ্রামের কোনও বাসিন্দার আর অস্ত্রোপচারের জন্য চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার দরকার হবে না । শরীরে পুষে রাখা জিন প্রয়োজনমতো গ্রামবাসীদের চিকিৎসা থেকে অস্ত্রোপচার সবই করে দেবে। এমনই বুজরুকি দিয়ে গ্রামবাসীদের 'ঠকাতে' গিয়ে ধরা পড়লেন দুই মহিলা।
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার বিকেলে মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম থানার খাজুরিয়া গ্রামে। জিনের ভয় দেখিয়ে গ্রামবাসীদের ঠকানোর চেষ্টার অভিযোগে উত্তেজিত মহিলারা ওই দুই মহিলাকে মারধর করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বেশ কয়েকদিন ধরে দু'জন মহিলা নবগ্রামের কয়েকটি গ্রামে ঘোরাঘুরি করে গ্রামবাসীদের বোঝাচ্ছিলেন তারা নিজেদের শরীরে জিন পুষে রেখেছেন এবং তাদের অলৌকিক ক্ষমতা রয়েছে। ওই দুই মহিলা সকলকে জানিয়েছিলেন, কারও কোনও জটিল রোগ থাকলে তাকে আর চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার দরকার নেই। তাদের শরীরে বাসা বেঁধে থাকা জিন সেই রোগ নিমেষে দূর করে দেবে।
অলৌকিক জিনের উপর ভরসা করে নবগ্রামের বেশ কিছু বাসিন্দা ওই দুই মহিলাকে বেশ কয়েক হাজার টাকা দিয়েছিলেন। অভিযোগ এরপর এক মহিলা কয়েকজনকে অন্ধকার ঘরে নিয়ে গিয়ে নিজেই চিকিৎসা করেন । কিন্তু সেই চিকিৎসায় কেউ সুস্থ হননি বলে গ্রামবাসীদের দাবি। বৃহস্পতিবার ফের ওই গ্রামে চারজনের জনের অস্ত্রোপচার করার জন্য শরীরে 'বাসা' বেধে থাকা ঐ জিনকে নিয়ে দুই মহিলা উপস্থিত হলে গ্রামবাসীদের তাদের ঘিরে ধরেন। নিউটন মন্ডল নামে এক যুবক বলেন,'ওই দুই মহিলা গ্রামবাসীদের চিকিৎসার নাম করে অন্ধকার ঘরে নিয়ে যেতেন। তারপর এক মহিলা নিজেই অস্ত্রোপচার করতেন।
কিন্তু তিনি কোনও রকম চিকিৎসা বা অস্ত্রোপচার করতে জানেন না। জিনের নামে বুজরুকি দিয়ে বেশ কয়েক হাজার টাকা গ্রামবাসীদের কাছ থেকে নিয়েছেন। আজ আমরা বিক্ষোভ দেখানোর পর ওই মহিলা ১৮ হাজার টাকা ফেরত দিয়ে চলে যান।' যদিও সাগরদিঘি থানার মোড়গ্রাম এলাকার বাসিন্দা ওই মহিলা বারে বারেই দাবি করেন ,'আমার শরীরে গত দেড় দু'বছর ধরে জিন বাসা বেঁধেছে। তাকে ব্যবহার করে আমি লোকের চিকিৎসা এবং অস্ত্রোপচার করি। আমার চিকিৎসায় ইতিমধ্যেই বেশ কিছু মানুষ সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এই গ্রামের লোকেরা বিশ্বাস না করায় আমি তাদের টাকা ফিরিয়ে দিয়েছি।'