আজকাল ওয়েবডেস্ক: পানাগড়ে রয়েছে ভারতীয় সেনার ঘাঁটি। আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা সেখানে। কিন্তু, সেনা ছাউনি এলাকায় এক ব্যক্তির আচরণ দেখে সন্দেহ হয় সেনাকর্মীদের। সেনার দাবি, কী কারণে সেনা ছাউনি এলাকায় ঢুকেছে জিজ্ঞাসা করা হলে ওই ব্যক্তি সদুত্তোর দিতে পারেনি। এরপরই খবর দেওয়া হয় বুদবুদ থানার পুলিশকে। অবশেষে গ্রেপ্তার করা হয় সন্দেহভাজন নীলেশ যাদবকে। সে মোবাইলে ছবি তুলে বায়ু সেনা ঘাঁটি এলাকা সে ম্যাপিং করছিল বলে অভিযোগ সেনার।
বিহারের বাসিন্দা ধৃত নীলেশ যাদবের থেকে উদ্ধার হয়েছে পাঁচটি মোবাইল ফোন। সেনা সূত্রে খবর, সে নিজেকে বেসরকারি এক টেলিকম সংস্থার কর্মী হিসেবে পরিচয় দেয়। ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট টেলিকমসংস্থাটি থেকে নীলেশের ব্যাপারে বিশদে জানতে চাওয়া হয়েছে। তলব করা হয়েছে সেই সংস্থার আধিকারকদের। বৃহস্পতিবার নীলেশকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। আদালত তাকে ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
কেন ম্যাপিং করছিল নীলেশ যাদব, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
গত দু'দিন ধরে অসম পুলিশের এসটিএফ অভিযান চালায় বাংলা ও কেরলে। দক্ষিণী রাজ্যটি থেকে ৮ জঙ্গি সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়। এরা ভারতে বড়সর নাশকতার ছক কষেছিল বলে দাবি গোয়েন্দাদের। এদিকে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানা এলাকাতেও চলে তল্লাশি। গ্রেফতার করা হয় জাল পাসপোর্ট-চক্রের পান্ডা মহঃ আব্বাস আলি ও হ মিনারুল শেখকে। ধৃত নীলেশ যাদবও কোনও জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।