• স্ট্রোক হলে আর রেফার নয়, স্থানীয় হাসপাতালেই রাজ্যের মানুষ পাবেন বিশ্বমানের চিকিৎসা, নয়া উদ্যোগ স্বাস্থ্য ভবনের
    আজকাল | ২০ ডিসেম্বর ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: স্ট্রোক হলে অনেক ক্ষেত্রে যেমন পর্যাপ্ত চিকিৎসার সময় পাওয়া যায় অনেক ক্ষেত্রে সেই সময়টাও পান না সাধারণ মানুষ। আবার এমনও হয় স্থানীয় হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসা প্রকল্পের অভাবে ছুটতে হয় অন্যান্য হাসপাতালে বা শিকার হতে হয় রেফার রোগের। গবেষকদের মতে, স্ট্রোকের ক্ষেত্রে সাড়ে চার ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসা করানো অত্যন্ত জরুরি। এই সময়টাকে বলা হয় গোল্ডেন আওয়ার। কিন্তু হাসপাতালে সমস্যা কিংবা পর্যাপ্ত চিকিৎসা কাঠামোর অভাবে গোল্ডেন আওয়ারের মধ্যে চিকিৎসা করাতে পারেন না অনেকেই।

     

     

    সেই কথা ভেবেই এবার নয়া ব্যবস্থা আনল রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর। গোল্ডেন আওয়ারের মধ্যে স্ট্রোকের চিকিৎসার ক্ষেত্রে থ্রমবলিসিস এবং থ্রমবেকটমি এই দুই ধরনের চিকিৎসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গবেষণায় দেখা গিয়েছে এই দুই ধরনের পরীক্ষার মাধ্যমে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন মানুষ। রাজ্যজুড়ে সমস্ত হাসপাতালে যাতে এই পরিষেবা পায় আমজনতা সে কারণে এবার টেলিস্ট্রোক ব্যবস্থা চালু করল স্বাস্থ্য ভবন। বর্তমানে রাজ্যের ন’টি মেডিক্যাল কলেজে এই থ্রমবলিসিস এবং থ্রমবেকটমি চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে। টেলিস্ট্রোক ব্যবস্থার মাধ্যমে রাজ্যের মহকুমা হাসপাতাল সহ যেকোনও স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে এই পরীক্ষা করাতে পারবেন মানুষ। টেলিস্ট্রোক কর্মসূচি টেলিমেডিসিনেরই আর এক রূপ।

     

     

    পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য ইঙ্গিত পোর্টাল থেকে টেলিমেডিসিন পরিষেবা চালু হয়েছিল ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে। সেখান থেকেই এবার এই টেলিস্ট্রোক পরিষেবা চালু হল। গোটা রাজ্যে মাত্র ন’টি হাসপাতাল থেকে বর্তমানে ৩২টি হাসপাতালে এই টেলিস্ট্রোক পরিষেবা চালু করা হয়েছে। প্রত্যেক জেলাতেই অন্তত একটি করে হাসপাতালে এই পরিষেবা রয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর। স্ট্রোকে আক্রান্ত কোনও রোগী ভর্তি হওয়া মাত্রই এই পরিষেবার মাধ্যমে বড় হাসপাতালে পৌঁছে যাবে রোগীর ডিটেলস। সেখান থেকেই চলে আসবে যাবতীয় রিপোর্ট। যে কারণে চিকিৎসায় বড়সড় পরিবর্তন আসবে বলেই মনে করছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর।
  • Link to this news (আজকাল)