মৌমিতা চক্রবর্তী: ১ কোটি সদস্য সংখ্যার লক্ষ্যমাত্রার ধারেকাছে পৌঁছনো সম্ভব নয় বলে আগেই মনে করেছে বঙ্গ বিজেপির বড় অংশ। লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক সদস্য জোগাড় করতেই কালঘাম ছুটেছে পদ্ম শিবিরের। এমনকী সদস্যপদের টার্গেট পূরণ করতে দু-দফায় বাড়ানো হয় সময়সীমা। তারপরেও বঙ্গ বিজেপির পারফরমেন্স নিয়ে অসন্তুষ্ট কেন্দ্রীয় নেতারা। নুন্যতম সদস্যপদ দেওয়ার লক্ষ্য়মাত্রাও এবার ১০০ থেকে কমিয়ে নুন্যতম ৫০ করা হয়েছে। তাও হিমশিম অবস্থা পদ্ম শিবিরের।
আর সে কারণেই বঙ্গ বিজেপির উপর দৃশ্যত বিরক্ত কেন্দ্রের বিজেপি নেতারা। নদীয়া, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর, ঝাড়গ্রাম, দার্জিলিং জেলার পারফরমেন্স নিয়ে রীতিমতো দুশ্চিন্তায় শীর্ষ নেতারা। এখনও অবদি সক্রিয় সদস্য হয়েছে মাত্র ১/৩%। বঙ্গ বিজেপি অবশ্য সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে নানা কৌশল নিয়েছে। তবুও সক্রিয় পাস মার্ক ৩৪-এর কোটাও এখনও ছুঁতে পারেনি। ভৎর্সনার মুখে এদিনও পড়তে হয়েছে বিধায়ক সাংসদ জেলাসভাপতিদের। এমনকি জেলাসভাপতিদের রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়েও সতর্ক করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
সন্ত্রাসের আবহের যুক্তি দিয়েছেন অনেকেই। তাদের ঝান্ডা ছাড়াই কৌশল নিয়ে সদস্য করানোর নিদান দেওয়া হয়েছে। জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু হবে বিজেপির সাংগঠনিক নির্বাচন। যা অবস্থা গতবারের সদস্য সংখ্যাও ছুঁতে পারবেন কিনা সেই প্রশ্নই থেকে গিয়েছে দলের অন্দরে। সক্রিয় সদস্য জেলার কার্যকরতারা না করাতে পারলে ব্যাটন কার হাতে যাবে সেই জেলার উঠেছে সেই প্রশ্নও! ১ কোটির দায় পূরণে তৎপর কেন্দ্রের নেতারাই।