পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম মহম্মদ আব্বাস এবং মিনারুল শেখ। তাঁদের কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন এবং একটি পেনড্রাইভ উদ্ধার হয়েছে। গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রায় আট বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গ ও অসমে জেএমবি-র মডিউল সক্রিয়। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সক্রিয়তা বাড়িয়েছে ‘আনসার উল্লাহ’ও। মুর্শিদাবাদ, মালদহ এবং উত্তর দিনাজপুরের মতো জেলাগুলিতে তারা শাখা তৈরি করেছে। শুধু তা-ই নয়, সীমান্ত এলাকায় স্থানীয় যুবকদের আগ্নেয়াস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণও দিচ্ছে তারা। এ ব্যাপারে জঙ্গি সংগঠনের নজরে থাকছেন মূলত পরিযায়ী শ্রমিকেরা।
জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় বলেন, ‘‘অসম পুলিশের এসটিএফ এবং রাজ্য পুলিশের এসটিএফ যৌথ ভাবে অভিযান চালায়। বিষয়টি জানানো হয় জেলা পুলিশকে। দু’রাজ্যের এসটিএফ ও জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার অভিযানে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ধৃতদের অসম নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জাল পাসপোর্ট চক্র ও জঙ্গি-যোগ সন্দেহে অসমের ধুবুরী থেকে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই আব্বাস ও মিনারুলের হদিস মেলে। তার পরেই অভিযান চালানো হয়।