এ বছর পৌষ মেলায় কড়া নিরাপত্তা থাকবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। মেলায় বসানো থাকবে সিসিটিভি ক্যামেরা। নিরাপত্তা দেখার জন্য একটি বিশেষ দল গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা এবং পুলিশ প্রশাসন। কোনও অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাঠে থাকবে মানচিত্র, যা মানুষজনকে পথ চেনাবে। রবিবার ৭ পৌষ (২২ ডিসেম্বর) সকালে ছাতিমতলায় পৌষ মেলার সূচনা হবে। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের দীক্ষার স্মরণে এই দিনটি উদ্যাপিত হয়। ঐতিহ্য মেনে আচার পালন করা হবে। মেলায় হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। ব্যবসায়ীদের আশা, এ বারের মেলায় ভিড় থাকবে অনেক বেশি। সে কারণে তাঁদের ব্যবসাও ভাল হবে।
২০১৯ সালে শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট এবং বিশ্বভারতীর আয়োজনে পূর্বপল্লির মাঠে শেষ বার হয়েছিল পৌষ মেলা। ২০২০ সালে অতিমারির কারণে মেলা হয়নি। ২০২১ এবং ২০২২ সালে মেলা করেনি বিশ্বভারতী। তখন বিশ্বভারতীর উপাচার্য ছিলেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। ওই দু’বছরই বোলপুর ডাকবাংলো ও স্টেডিয়াম মাঠে হয়েছিল বিকল্প পৌষ মেলা। গত বছর বিদ্যুতের মেয়াদ শেষ হয়। তার পরে পূর্বপল্লির মেলার মাঠে ফিরে আসে পৌষ মেলা। তবে গত বারও সেই মেলার আয়োজন করেনি বিশ্বভারতী। শর্তসাপেক্ষে জেলা প্রশাসনকে মেলা করার জন্য পূর্বপল্লির মাঠ দিয়েছিল বিশ্বভারতী। ভার্চুয়ালি সেই মেলার উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার বিশ্বভারতীর উদ্যোগে শুরু হতে চলেছে পৌষ মেলা।