কর্ণধরের বাড়িতে স্ত্রী, কন্যা এবং বৃদ্ধ বাবা রয়েছেন। সংসারে একমাত্র রোজগেরে ছিলেন তিনি। নিয়মিত কাঁকড়া ধরার জন্য জঙ্গলে যেতেন। বৈধ ছাড়পত্রও রয়েছে তাঁর কাছে। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঘটি। সঙ্গীরা লাঠি দিয়ে আঘাত করলে বাঘটি কর্ণধারকে ছেড়ে পালিয়ে যায়। বাড়িতে নিয়ে আসার পথে নৌকায় মৃত্যু হয় যুবকের। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুলতলি ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
চলতি মাসের শুরুতে জঙ্গলে মাছ, কাঁকড়া ধরতে গিয়ে আহত হয়েছিলেন আর এক মৎস্যজীবী। সুন্দরবনের কলস দ্বীপের কাছে ঘটনাটি হয়েছিল। কাঁকড়া ধরার প্রস্তুতি চলার সময়ে পাশের জঙ্গল থেকে একটি বাঘ বেরিয়ে আক্রমণ করে শুকদেব সাফুই যুবককে। জঙ্গলে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে তাঁকে। সঙ্গীরা লাঠি-বাঁশ হাতে রুখে দাঁড়ান। বাধা পেয়ে ‘শিকার’ ছেড়ে জঙ্গলে ফিরে যায় বাঘ। যুবককে কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। তবে এ বার প্রাণ বাঁচানো গেল না কর্ণধরের।