কলকাতায় কংগ্রেসের সদর দফতরে হামলার অভিযোগ। দফতর লক্ষ্য করে পাথর, কাচের বোতল ছুড়ে মারা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় বিজেপির দুষ্কৃতীদের দিকে আঙুল তুলেছে কংগ্রেস। অভিযোগ, তাঁদের একাধিক নেতা আহত হয়েছেন। জানানো সত্ত্বেও তাঁদের নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ। বিজেপি নেতা তমোঘ্ন ঘোষ, সুবোধ দাসের নাম উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগপত্রে।
এন্টালি থানায় বৃহস্পতিবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন কংগ্রেস নেতা সুমন পাল। অভিযোগ, বিকেলে কংগ্রেসের সদর দফতরের সামনে জড়ো হয় এক দল দুষ্কৃতী। তাদের হাতে লাঠি, লোহার রড, কাচের বোতল এমনকি, পিস্তলও ছিল। তমোঘ্ন এবং সুবোধের উস্কানিতে কংগ্রেসের দফতরের সামনে দুষ্কৃতীরা জড়ো হয় বলে অভিযোগ। ৩০ থেকে ৪০ জন দফতরে হামলা চালায়। বাইরে থেকে ছোড়া হয় পাথর এবং কাচের বোতলগুলি। দফতরে থাকা কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা তাতে আহত হন।
অভিযোগপত্রে কংগ্রেস জানিয়েছে, সংসদে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের অম্বেডকর-মন্তব্যের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার বিকেলে একটি প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল বিধান ভবনে। পূর্বঘোষিত সেই কর্মসূচিতে যোগ দিতে অনেক নেতাই দফতরে এসেছিলেন। সেই সময় আচমকা বিজেপি হামলা চালায় বলে অভিযোগ।
কংগ্রেসের বক্তব্য, বিজেপি হামলা চালাতে পারে জানতে পেরে পুলিশকে আগে থেকেই সতর্ক করেছিল তারা। দলের তরফে নিরাপত্তা চেয়ে ইমেল করা হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে পারেনি। বিজেপির ওই হামলায় কংগ্রেস নেতা সৈয়দ ইমতিয়াজ আহমেদ, তনবীর খালিক এবং শেখ ফৈয়জ গুরুতর আহত হয়েছেন। কাচের বোতল তাঁদের মাথায় গিয়ে লেগেছে। ইমতিয়াজের পিঠেও দুষ্কৃতীরা বন্দুকের বাট দিয়ে আঘাত করে বলে অভিযোগ। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ঘটনায় একাধিক পুলিশকর্মী এবং সাংবাদিকেরও আঘাত লেগেছে, দাবি কংগ্রেসের।
অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই তমোঘ্ন বলেন, ‘‘সংসদে আমাদের সাংসদদের উপর হামলা প্রতিবাদে আমাদের কর্মীরা বিধান ভবনের পাশ দিয়ে মিছিল করে যাচ্ছিলেন। সে সময় কংগ্রেসের গুণ্ডারা বিধান ভবন থেকে হামলা করে। সেখানেই দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। আমরা ওদের দফতর দখল করতে যাইনি। যাবও না। আমি শুনেছি আমার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। আমি ঘটনাস্থলেই ছিলাম না। দলের সদস্য সংগ্রহ অভিযানের বৈঠকে ছিলাম। তৃণমূলও আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছে, কংগ্রেসও তাই করল।’’