সংবাদদাতা, ডোমকল: পুলিসের চোখে ধুলো দিয়ে বহুদিন ধরেই আগ্নেয়াস্ত্রের কারবার চালিয়ে যাচ্ছিল এক ব্যক্তি। নাগালে না পেলেও তাকে ধরতে পুলিসও ছিল নাছোড়বান্দা। গোপনে নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছিল তারা। অবশেষে তার সুফল মিলল। শেষ পর্যন্ত হাতেনাতে আগ্নেয়াস্ত্র সহ ওই ব্যক্তিকে পাকড়াও করেছে পুলিস।
পুলিস জানিয়েছে, বুধবার রাতে ডোমকলের জুগিন্দার আমিনাবাদে অভিযান চালিয়ে ওই দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতের নাম সাত্তার মণ্ডল। বাড়ি আমিনাবাদেরই বিশ্বাসপাড়ায়। ধৃতের কাছ থেকে দু’টি একনলা বন্দুক ও দুই রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। বৃহস্পতিবার ধৃতকে বহরমপুর আদালতে পাঠানো হলে বিচারক সাতদিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
পুলিস জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি বহুদিন ধরে আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রির কারবার চালিয়ে যাচ্ছিল। সোর্স মারফৎ পুলিসের কাছেও সেই খবর গিয়ে পৌঁছয়। হাতেনাতে পাকড়াও করতে পুলিস গোপনে ওই ব্যক্তির উপর নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছিল। এর আগে নজরদারি সত্ত্বেও পুলিসের চোখে ধুলো দিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রি করে চম্পট দিতে সক্ষম হয় ওই ব্যক্তি। তবে এবার আর পারেনি। বুধবার রাতে আমিনাবাদের একটি ইটভাটার কাছে দু’টি আগ্নেয়াস্ত্র হাতবদল করার কথা ছিল সাত্তারের। সোর্স মারফৎ এখবর পেয়ে ডোমকল থানার পুলিস সেখানে গোপনে নজরদারি শুরু করে। ওই ব্যক্তিকে কাঁধে চটের বস্তা নিয়ে রাস্তায় হাঁটতে দেখে দাঁড় করিয়ে তল্লাশি শুরু করে পুলিস। চটের বস্তার মুখ সরাতেই ভিতরে দু’টি একনলা বন্দুক দেখা যায়। এরপরই ওই ব্যক্তিকে পাকড়াও করা হয়। পরে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিস তাকে গ্রেপ্তার করে। বৃহস্পতিবার তাকে বহরমপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক সাতদিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
পুলিস জানিয়েছে, ধৃত ব্যক্তি ওই আগ্নেয়াস্ত্র কার কাছ থেকে কিনত, কার কাছেই বা বিক্রি করত-সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাকে হেফাজতে নিয়ে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।