• শীতলকুচি কলেজের রজতজয়ন্তী বর্ষের অনুষ্ঠান ২২-২৩ ডিসেম্বর
    বর্তমান | ২০ ডিসেম্বর ২০২৪
  • প্রকৃতিরঞ্জন সরকার ও টোটোন বর্মন শীতলকুচি: ১৯৯৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠিত শীতলকুচি কলেজ নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে কোচবিহার জেলায় উচ্চশিক্ষায় এক স্বতন্ত্র স্থান অধিকার করে নিয়েছে। শুধু তাই নয়, এক অনন্য সাধারণ ইতিহাস ও ঐতিহ্য নির্মাণের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের এক প্রত্যন্ত জনপদের আধ-অন্ধকার আলোছায়ায় দাঁড়িয়ে দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে উচ্চশিক্ষার ‘বাতিঘর’ হিসেবে নিভৃতে শিক্ষা তথা চেতনার আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে। চলার পথে ২২-২৩ ডিসেম্বর শীতলকুচি কলেজ তার রজতজয়ন্তী বর্ষের অন্তিমপর্বের অনুষ্ঠান আয়োজন করছে। এজন্য কলেজ প্রাঙ্গণে দু’দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। 


    ১৯৯৯ সালে শীতলকুচি হাসপাতালের সামনে একটি টিন শেডের তিন কক্ষের স্কুল ভবনে জেনারেল কোর্স দিয়ে যাত্রা শুরু হয় এই কলেজের। ২০০৬ সালে নিজস্ব প্রাঙ্গণে স্থানান্তর করা হয় কলেজকে। তখন ছিল একতলা ভবন। আজ সেই কলেজের পরিকাঠামো মহীরুহের আকার নিয়েছে। বর্তমানে তিনটি ভবন মিলে গড়ে উঠেছে সুদৃশ্য পরিকাঠামো। 


    কলেজের রজতজয়ন্তী বর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে বছরভর নানা অনুষ্ঠান হয়েছে। এবার ২২-২৩ ডিসেম্বর হবে অন্তিমপর্বের অনুষ্ঠান। রবিবার সকালে ট্যাবলো সহ শোভাযাত্রার মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ, কোচবিহারের সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া, পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিখিলচন্দ্র রায়ের উপস্থিত থাকার কথা। প্রথম দিনের অনুষ্ঠানে থাকবে কলেজের স্মরণিকা প্রকাশ, পদ্মশ্রী ও বঙ্গরত্ন প্রাপ্ত শিল্পী মঙ্গলাকান্ত রায়ের সারিন্দা, জ্যোতির্ময় সেনের রবীন্দ্রসঙ্গীত, নৃত্যনাট্য ‘ঋতুরঙ্গ’, ভাওয়াইয়া গান  এবং বেসরকারি চ্যানেলখ্যাত শিল্পী রাহুল দত্তের সঙ্গীতানুষ্ঠান। দ্বিতীয় দিনে সকাল ১১টায় অনুষ্ঠানের শুরুতেই কলেজের ছাত্রছাত্রীদের দ্বারা মঞ্চস্থ হবে মোহিত চট্টোপাধ্যায় রচিত নাটক ‘মাছি’। পরপর থাকবে আদিবাসী নৃত্য, শ্রুতি নাটক, শিল্পী সঙ্গীতা দাসের গান, আবৃত্তি, নৃত্যনাট্য ‘চিত্রাঙ্গদা’, অঙ্কিতা দাশের একক সঙ্গীতানুষ্ঠান, বীরভূমের শিল্পীদের বাউল গান ও সর্বভারতীয় চ্যানেল খ্যাত শিল্পী নীলাঞ্জন রায়ের সঙ্গীতানুষ্ঠান। 


    কলেজের টিচার্স ইনচার্জ সঙ্গীতা রায় চৌধুরী বলেন, রবিবার সকালে শোভাযাত্রার মধ্যদিয়ে রজতজয়ন্তী বর্ষ উদযাপনের অন্তিম পর্বের অনুষ্ঠানের সূচনা হবে। দু’দিনই রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত অনুষ্ঠান হবে। যাতায়াতের সুবিধার জন্য মাথাভাঙা ও সিতাইয়ের দিকে অটো চলাচলের ব্যবস্থা থাকবে। অনুষ্ঠানকে সাফল্যমণ্ডিত করতে কলেজের পক্ষ থেকে সবা‌ইকে সাদর আমন্ত্রণ জানাই। 


    কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি আবেদ আলি মিয়াঁ বলেন, কলেজের খ্যাতি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে। বহু ছাত্র-ছাত্রী দেশ-বিদেশে প্রতিষ্ঠিত। শীতলকুচি কলেজ যুগের পর যুগ এভাবেই গ্রামের তরুণ-তরুণীদের মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেবে, রজতজয়ন্তী বর্ষে এটাই আমাদের প্রার্থনা।  নিজস্ব চিত্র। 
  • Link to this news (বর্তমান)