বালুরঘাটে রেস্তরাঁর খাবারে ছত্রাক, ফ্রিজের মধ্যে পচা-বাসি উপকরণ!
বর্তমান | ২০ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, পতিরাম: রেস্তরাঁ ফ্রিজে ছত্রাক ধরা ফ্রিশ ফ্রাই, বরফ জমা চিলি পনির, মিষ্টির দোকানেও দেখা গেল ফ্রিজ ভর্তি নোংরা। বালুরঘাট শহরের একাধিক রেস্টুরেন্ট, কেক, খাবারের দোকানে হানা দিয়ে হতবাক সরকারি আধিকারিকরা। বেশিরভাগ দোকানেই বাসি ও অস্বাস্থ্যকর খাবারের হদিশ মেলে। আধিকারিকরা কর্মীদের দিয়েই সেসব খাবার নষ্ট করেন। তাঁরা দেখেন কেক তৈরির তারিখ উল্লেখ নেই। অনেক দোকানে ওজন করার যন্ত্র ঠিক নেই। এমন নানা অসঙ্গতি মিলতেই একাধিক দোকানের মালিককে জরিমানা করেন আধিকারিকরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বালুরঘাটে একসঙ্গে অভিযানে নামে ক্রেতা সুরক্ষা, খাদ্য সুরক্ষা, লিগাল মেট্রোলজি ও এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। বড়দিনের আগে কেক বিক্রি ব্যাপক বাড়ে। সেই সঙ্গে উৎসবে খাবারের দোকানেও ভিড় করে জনতা। তবে বেশিরভাগ দোকানেই বাসি খাবার বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠার পরই অভিযান চালানো হয়েছে।
এবিষয়ে ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের সহ অধিকর্তা বিধানচন্দ্র ঘরানী বলেন, বালুরঘাট শহরে আজ অনেক খাবারের দোকানে অভিযান চালিয়েছি। বেশিরভাগ দোকানে খাদ্য ও অন্যান্য সামগ্রীর গুণগত মান খারাপ। কিছু জায়গায় বাসি খাবারও মজুত করা ছিল। নিয়ম অনুযায়ী জরিমানা করা হয়েছে। আমরা লাগাতার অভিযান চালাব।
এসব দেখে বালুরঘাট শহরের বাসিন্দা গৌতম সরকার বললেন, আমরা অজান্তেই শহরের নানা দোকানের বাসি ও পচা খাবার খেয়ে ফেলেছি। যারা এমন কারবার করছে, ভীষণ অন্যায় হয়েছে। প্রশাসন নিয়মিত অভিযান চালালে দোকানদাররা সতর্ক হবে।
বালুরঘাট শহরে বৃহস্পতিবার সকালেই হোটেল, রেস্তরাঁ, খাবার, মিষ্টিসহ নানা দোকানে এই অভিযান চলে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পর পরিছন্নতা বজায় রেখে রান্না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ওজনের যন্ত্র দীর্ঘদিন ধরে রিনিউ করা হয়নি। অনেক দোকানে পুরনো কেক বিক্রি করা হচ্ছিল। সেই কেকগুলি কবে তৈরি হয়েছে লিখে বিক্রি করার নির্দেশ দেওয়া হয় এদিন।
তবে পরিদর্শনের সময় বেশকিছু দোকানে ভালো মানের খাবার পেয়েছেন বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকরা। যে সব দোকানে মিলেছে বাসি ও ছত্রাক ধরা ফ্রিশ ফ্রাই,সেই দোকানদারদের সাফাই, ফ্রিজের বাসি সামগ্রী আগের রাতের। কর্মী না আসার কারণে সেগুলি বৃহস্পতিবার সকালে ফেলে দেওয়া যায়নি। তাছাড়া সব কিছু ঠিকই রয়েছে। এই যুক্তিতে সন্তুষ্ট না হয়ে আধিকারিকরা অনেককেই জরিমানা করেছেন। নিজস্ব চিত্র।