সংবাদদাতা, তপন: তপনের পাহাড়পুর এবং গুড়াইল ফরেস্টে পিকনিক বন্ধ করা নিয়ে এবছর এখনও পর্যন্ত প্রশাসন নিষেধাজ্ঞা জারি না করায় ধন্দ বাড়ছে। এছাড়া গোফানগর ফরেস্ট থাকলেও সেখানে পিকনিকের তেমন পরিকাঠামো গড়ে ওঠেনি। স্থানীয়রা জানান, লকডাউনের আগে পর্যন্ত ফরেস্টের ভিতরে দেদারে চলত পিকনিক। তারপর প্রতিবছর প্রশাসন পিকনিকে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ২৫ ডিসেম্বর সবচেয়ে বেশি ভিড় হয় পিকনিক স্পটগুলিতে। জানুয়ারি মাসজুড়ে চলে পিকনিকের মরসুম। ২৫ ডিসেম্বরে গুড়াইল ফরেস্ট সংলগ্ন এলাকায় পিকনিক করতে দেখা যায় মানুষজনদের। আগের বছরগুলিতে প্রশাসন অনেক আগেই ফরেস্টের ভিতর পিকনিক করায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে বিজ্ঞপ্তি ঝুলিয়ে দিয়েছিল। তবে এবছর এখনও সেরকম কিছু পদক্ষেপ না নেওয়ায় ধন্দে বাসিন্দারা।
পিকনিকের সময় ফরেস্টগুলিতে বন্যপ্রাণীদের ক্ষতি হতে দেখা গিয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও ঘটেছে বিভিন্ন জায়গায়। সেজন্য ফরেস্টের ভিতরে পিকনিক নিষিদ্ধ করে প্রশাসন। পাহাড়পুরের বাসিন্দা তপন বর্মন বলেন, এবছর শীত পড়তেই দলবেঁধে অনেকে ফরেস্টে পিকনিক করতে আসছেন। তবে ২৫ ডিসেম্বর সবচেয়ে বেশি ভিড় হওয়ার কথা। প্রশাসন নিষেধাজ্ঞা জারি করবে কি না, বুঝতে পারছি না। আগে সিদ্ধান্ত নিলে এবিষয়ে নিশ্চিত হতে পারতাম।
বালুরঘাটের রেঞ্জার তাপস কুন্ডু বলেন, বন্যপ্রাণীদের ক্ষয়ক্ষতি আটকানো, যাতে পালিয়ে না যায় এবং ফরেস্টে অগ্নিকাণ্ডের মতো ঘটনা না ঘটে সেসব মাথায় রেখে পিকনিকে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। কিছুদিনের মধ্যে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। দোল, স্বাধীনতা দিবসের মতো বিশেষ দিনগুলিতেও বনদপ্তরের কর্মীরা বেশি করে পেট্রলিং করেন ফরেস্টে। -নিজস্ব চিত্র