সদস্য সংগ্রহে ডাহা ফেল বঙ্গ বিজেপি, নেতৃত্বে বদলের ইঙ্গিত কেন্দ্রীয় নেতার
বর্তমান | ২০ ডিসেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ব্যর্থতা পিছু ছাড়ছে না বঙ্গ বিজেপির। ২০২১ সালের বিধানসভায় গোহারা হয়েছে। পরবর্তী উপ নির্বাচনগুলিতেও ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হয়েছে, তৃণমূলের সামনে কার্যত দাঁড়াতেই পারেনি পদ্ম শিবির। ওইসঙ্গে লাগাতার সাংগঠনিক দুর্বলতার চিত্র প্রকট হয়েছে তাদের। এবার বাংলাজুড়ে নতুন করে বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযানে নেমে মুখ থুবড়ে পড়ছে রাজ্য নেতৃত্ব। তা নিয়ে সুকান্ত মজুমদার, অমিতাভ চক্রবর্তীসহ রাজ্য নেতাদের দক্ষতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন কেন্দ্রীয় নেতা মঙ্গল পান্ডে। সদস্য সংগ্রহ অভিযান নিয়ে বৃহস্পতিবার সল্টলেকে এক কর্মশালার আয়োজন করে বিজেপি। সেখানেই মঙ্গল পান্ডের বিস্ফোরক মন্তব্য, মেম্বারশিপ কর্মসূচিতে রাজ্য নেতৃত্ব ব্যর্থ হয়েছে।
উল্লেখ্য, অমিত শাহ বাংলার জন্য ১ কোটি সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা দিয়ে গিয়েছিলেন। তার সময়সীমা ছিল গত নভেম্বর। কিন্তু বঙ্গে বিজেপির সদস্য সংগ্রহের দৈন্যদশার তথ্যই পৌঁছয় দিল্লিতে। এরপর এরাজ্যের নেতারা ওই সময়সীমা বৃদ্ধির জন্য বায়না ধরেন। তাতে সাড়া দিয়ে সময়সীমা ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু তারপরও অভীষ্ঠ লক্ষ্যের ধারেকাছেও পৌঁছতে পারেনি বাংলার প্রধান বিরোধী দল।
মঙ্গল পান্ডের বক্তব্য, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে বিজেপির সদস্য সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ২৬ লক্ষ ৯৩ হাজার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক কম। হাতে সময় আর মাত্র ১২-১৩ দিন, তার মধ্যে যদি নেতৃত্ব পাশ করতে পারেন তো ভালো। ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় পাশ মার্ক ৩৪। কিন্তু মেম্বারশিপের প্রশ্নে শতাংশের হিসেব বলছে, এখনও পর্যন্ত রাজ্য নেতারা মাত্র ২৬.৬৩ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন! একইসঙ্গে ধাপে ধাপে সংগঠনে বদলের ইঙ্গিতও দিয়েছেন বিহার রাজ্য বিজেপির এই প্রাক্তন সভাপতি।
প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বরে সুকান্ত মজুমদারের রাজ্য সভাপতির মেয়াদ শেষ হয়েছে। কিন্তু ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগে পার্টির সর্বোচ্চ পদে বসানোর মতো যোগ্য নেতা মিলছে না বলে দলের অন্দরে চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ তিনমাস পরেও নতুন রাজ্য সভাপতি নিয়োগ করা যায়নি। পাশাপাশি জেলা, মণ্ডলসহ নিচুতলার সংগঠনেও বদল আসন্ন। বর্তমান ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর একাধিক রাজ্য ও জেলা নেতার বিরুদ্ধে ভূরিভূরি অভিযোগ জমা পড়েছে দিল্লিতে। সেসব দলীয় স্তরে খতিয়ে দেখা হয়েছে। এখন দেখার, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দেশের শাসক দল কতটা কড়া হয়, এবং পাশাপাশি সংগঠনে আদৌ ‘নতুন রক্ত’ আসে কি না।