নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আর জি কর কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছিল নির্যাতিতার (অভয়া) পরিবার। সেইমতো সিবিআইয়ের হাতেই তদন্তভার তুলে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আর এবার সেই কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে অনাস্থা প্রকাশ করে ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন নির্যাতিতার বাবা-মা।
বৃহস্পতিবার সিবিআই তদন্তের গতি-প্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন নির্যাতিতার বাবা-মায়ের আইনজীবী। তার প্রেক্ষিতে আপাতত সিবিআইয়ের অবস্থান জানতে চেয়েছে আদালত। এদিন বিচারপতি ঘোষের নির্দেশ, ওই মামলার নথি হাইকোর্টে পেশ করতে হবে সিবিআইকে। পরবর্তী শুনানি ২৪ ডিসেম্বর। বিচারপতি এদিন মৌখিকভাবে আরও জানান, নিম্ন আদালতে বিচার প্রক্রিয়া চলবে। সুপ্রিম কোর্ট এই তদন্তে নজরদারি করছে। তবে তদন্ত নিয়ে পরিবারের যদি কোনও আপত্তি থাকে, তবে সেই ব্যাপারটি হাইকোর্ট বিবেচনা করতে পারে। এদিন সিবিআইয়ের আইনজীবীরা জানান, ইতিমধ্যে তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে আটটি স্টেটাস রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। যদিও তদন্তে একাধিক ফাঁকফোকর রয়েছে বলে দাবি করেছে নির্যাতিতার পরিবার।
আর জি করে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তথ্য-প্রমাণ লোপাট এবং কর্তব্যে গাফিলতি সংক্রান্ত মামলায় ৯০ দিন পেরিয়ে গেলেও চার্জশিট দিতে পারেনি সিবিআই। তার জন্য মামলায় ধৃত আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের জামিন মঞ্জুর করে আদালত, তা নিয়েও ক্ষুব্ধ নির্যাতিতার পরিবার।
এদিকে, আর জি কর ইস্যুতে জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টর্স ফোরামকে শর্তসাপেক্ষে ধর্মতলায় মেট্রো চ্যানেলে ধর্নায় বসার অনুমতি দিয়েছে আদালত। পুলিসি অনুমতি না-মেলায় তারা আদালতের দ্বারস্থ হয়। আদালত জানিয়েছে, ২০-২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত তারা ধর্না চালিয়ে যেতে পারবে। তবে দু’শোর বেশি লোক নিয়ে ওই ধর্না কর্মসূচি চালানো যাবে না। বিচারপতি ঘোষ আরও জানান, ডাক্তারদের দাবিগুলি রাজ্যকে জানাতে হবে। কোন দাবিতে কী আপত্তি, তা আদালতে জানাবে রাজ্য। সেই অনুযায়ী বিবেচনা করে শুক্রবার আদালত ধর্নার বাকি শর্ত ঠিক করবে।