‘বাংলার বাড়ি’: শৌচাগার তৈরিতে মিলবে অতিরিক্ত ১২ হাজার টাকা
বর্তমান | ২০ ডিসেম্বর ২০২৪
প্রীতেশ বসু, কলকাতা: মোট ২৮ লক্ষ প্রান্তিক মানুষকে পর্যায়ক্রমে বাড়ি তৈরির ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে দেবে রাজ্য সরকার। প্রথম পর্যায়ের ১২ লক্ষ ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ওই টাকা পাঠানো শুরু করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। তারই মধ্যে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের এই সমস্ত উপভোক্তার জন্য বড় সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। এঁদের মধ্যে অধিকাংশের বাড়িতেই শৌচাগার তৈরি করে দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে। তার জন্যে আরও ১২ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বলেই জানা গিয়েছে। মূলত, মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পের সঙ্গে কনভার্জেন্স বা সংযুক্তি স্থাপন করেই বাংলার বাড়ির যোগ্য প্রাপকদের শৌচাগার তৈরির টাকা দেওয়া নিয়ে প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেই সূত্রের খবর।
এবিষয়ে জানতে চাওয়া হলে, পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার জানান, অনেকদিন আগেই বাংলা ‘উন্মুক্ত শৌচমুক্ত রাজ্য’ হিসেবে ঘোষিত হয়েছে। ফলে বাড়ি তৈরির পাশাপাশি উপভোক্তাদের জন্য শৌচাগার তৈরি করে দেওয়াও একটি বড় কাজ। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বাংলার বাড়ি প্রকল্পের যাচাই পর্ব চালুর আগেই স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রোটোকল (এসওপি) জারি করেছিল রাজ্য। সেই এসওপিতেই ঠিক করা হয়েছিল, অন্যান্য প্রকল্পের সঙ্গে সংযুক্তিকরণের মাধ্যমেই শৌচাগার, বিদ্যুৎ, পানীয় জলের মতো মৌলিক সুবিধা প্রদান করা হবে। আবার এই সমস্ত উপভোক্তা পরিবারকে আনন্দধারা প্রকল্পের অধীনেও আনা হবে। রাজ্য পঞ্চায়েত দপ্তরের নির্মল বাংলা বিভাগ সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা ছাড়ার কাজ শুরু হতেই এই সমস্ত বাড়িতে শৌচাগার সুনিশ্চিত করার বিষয়টি নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। এই বিষয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডাকা হবে শীঘ্রই। তবে এর জন্য আলাদা করে আবেদন করতে হবে উপভোক্তাদের। ওই কাজের জন্য জেলাগুলিকেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হবে। সাধারণত, মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পের অধীনে শৌচাগার তৈরির জন্য ছ’হাজার টাকা করে দুটি কিস্তিতে টাকা ছাড়া হয়। এক্ষেত্রে একই নিয়মেই মানা হবে বলেই প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে বলেই সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত, বাড়ি তৈরির টাকাও ৬০ হাজার করে দুটি কিস্তিতে দেবে রাজ্য। প্রথম কিস্তির টাকা পেয়ে বাড়ি তৈরির কাজ কিছুটা এগনোর পর শৌচাগার তৈরি নিয়ে মাঠে ঝাঁপানো হবে বলেই এক প্রশাসনিক কর্তার মত। শৌচাগার তৈরির টাকাও সরাসরি উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে।
এক আধিকারিক জানান, বাংলার বাড়ি প্রকল্পের অধিকাংশের জন্যেই শৌচাগার তৈরির প্রয়োজন পড়বে। এঁদের মধ্যে খুব কম সংখ্যক মানুষ এমন পাওয়া যাবে যাঁদের আগেই মিশন নির্মল বাংলার অধীনে শৌচাগার তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অনেক জায়গাতেই দেখা গিয়েছে, কয়েক বছর আগের তৈরি শৌচাগারের অবস্থা একেবারে জরাজীর্ণ হয়ে গিয়েছে। এই সমস্ত দিক বিচার করেই যাঁরা আগে এই সুবিধা পেয়েছেন, তাঁদের বিষয়টি বিবেচনা করবে জেলা প্রশাসন।