• চালের সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে আলুও রপ্তানি বাংলাদেশে
    বর্তমান | ২০ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্ত চেকপোস্ট দিয়ে চালের সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে আলুও সেদেশে রপ্তানি হচ্ছে। তবে রাজ্যে উৎপাদিত আলু বাংলাদেশে এখন যাচ্ছে না। মূলত পাঞ্জাব থেকে রেলের রেকে ভর্তি নতুন আলু বাংলাদেশে পাঠানো হচ্ছে। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ সীমান্ত দিয়ে গত কয়েকদিনের মধ্যে এক হাজার টনের বেশি আলু বাংলাদেশে ঢুকেছে বলে জানা গিয়েছে। ভারতীয় আলুর কেজি প্রতি রপ্তানি মূল্য ২৭ টাকার মতো পড়ছে বলে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমেও উল্লেখ করা হচ্ছে। রাজ্যে উৎপাদিত নতুন আলু এখনও বাজারে আসতে কিছুদিন দেরি আছে। কলকাতা ও বিভিন্ন জেলার বাজারে পাঞ্জাব ও উত্তরপ্রদেশের নতুন আলু এখন আসছে। বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য রাজ্যে নতুন আলুর জোগান কমছে এটা অবশ্য মানছেন না টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে। তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশে পাঞ্জাবের আলু গেলেও এখানে জোগান ঠিকই আছে। তবে ব্যবসায়ী মহলের বক্তব্য, বাংলাদেশে বেশি দাম পেলে পাঞ্জাবের ব্যবসায়ীরা সেখানেই আলু পাঠাতে বেশি উৎসাহী হবেন। এতে এরাজ্যে জোগান কমতেই পারে। 


    উত্তরপ্রদেশ-পাঞ্জাব থেকে কলকাতা পাইকারি বাজারে যে নতুন আলু ঢুকছে তার দাম গত বেশ কয়েকদিন ধরে একই আছে। ২৩-২৪ টাকা কেজি দরে তা পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে। বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, জোগান বাড়লে দাম আরও কমা উচিত ছিল। খুচরো বাজারে অনেক জায়গাতে অবশ‌্য এখনও নতুন ও হিমঘরে সংরক্ষিত পুরনো আলু ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বড় ব্যবসায়ীদের অবশ্য দাবি, ভিন রাজ্যে হিমঘরের আলু পাঠানোর উপর রাজ্য সরকারের বিধিনিষেধ থাকায় দাম কমবে। হিমঘর থেকে বেরনোর পর  ভালো মানের জ্যোতি আলুর দাম ২৪ টাকার আশপাশে রয়েছে। বাঁকুড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরে মাঝারি মানের আলু হিমঘর থেকে ২০ টাকা কেজি দরের আশপাশে বিক্রি হচ্ছে। ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা ও ছত্তিশগড়ে ওই আলুর চাহিদা থাকলেও বিধিনিষেধের কারণে তা পাঠানো যাচ্ছে না। তাই কম দামে  স্থানীয় বাজারেই বিক্রির জন্য পাঠানো হচ্ছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)