• স্নাতকোত্তরের ফাঁকা আসন পূরণে নিজস্ব উদ্যোগে ভর্তি নিচ্ছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়
    বর্তমান | ২০ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: প্রায় দু’মাস ক্লাস হয়ে গিয়েছে। এখনও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তরের বহু আসন ফাঁকা। এদিকে, আসন পূরণের জন্য উচ্চশিক্ষা দপ্তরের দেওয়া চূড়ান্ত সময়সীমা ছিল ৩০ নভেম্বর। তার পরেও বিভিন্ন বিভাগে আসন ফাঁকা থেকে যাওয়ায় নিজেদের মতো করে ভর্তি চালাতে বাধ্য হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। তবে তাতেও ফাঁকা আসনের ৫০ শতাংশ পূর্ণ হবে কি না, সে ব্যাপারে নিশ্চিত নন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তারা।


    রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৩০-৪০ শতাংশ আসন ফাঁকা রয়েছে বিভিন্ন বিভাগে। সম্প্রতি কলা বিভাগের ডিনের সঙ্গে এ নিয়ে বৈঠক করেছেন বিভাগীয় প্রধানরা। সেখানে ইংরেজি এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান ছাড়া অন্য বিষয়ের বিভাগীয় প্রধানরা ফের ভর্তি চালুর জন্য আর্জি জানিয়েছেন ডিনকে। ওই দুই বিভাগের বক্তব্য ছিল, ১ নভেম্বর থেকে ক্লাস শুরু হয়ে গিয়েছে। তাই এখন যাঁরা ভর্তি হবেন, তাঁরা প্রথম সেমেস্টারের সিলেবাস শেষ না করেই পরীক্ষা দিতে বাধ্য হবেন। যদিও অধিকাংশ বিভাগীয় প্রধানের দাবি, কঠিন হলেও দু’মাসের ঘাটতি পুষিয়ে দেওয়া সম্ভব। আসন খালি থাকা এবং একজন পড়ুয়ার একবছর নষ্ট হওয়ার চেয়ে সেটা ভালো। এক্ষেত্রে সরকারের চূড়ান্ত সময়সীমাকেও অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলার প্রয়োজন নেই বলে মত অনেকের। 


    কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সবচেয়ে বেশি আসন রয়েছে বাংলা বিভাগে। ৪৩৬টি আসনের মধ্যে অনেকগুলিই ফাঁকা। ভর্তি চালু রেখে সেগুলি পূরণের পক্ষেই বিভাগের শিক্ষকরা। যদিও, সবচেয়ে খারাপ অবস্থা কলেজে চলা মাস্টার ডিগ্রি কোর্সগুলির। বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন ফাঁকা থাকার ফলে অনেক পড়ুয়া কলেজ ছেড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন। এর ফলে বহু কলেজে তিন থেকে চারজন পড়ুয়া রয়ে গিয়েছেন। এক অধ্যাপক বলেন, ২০১৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং তার অধীন কলেজগুলিতে বাংলার ছাত্রছাত্রী ছিল প্রায় সাড়ে ছ’হাজার। এই সাতবছরে তা অর্ধেকে নেমে গিয়েছে। আগামীতে এ নিয়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা না-থাকলে এভাবেই সরকারি পরিকাঠামো অব্যবহৃত থেকে যাবে বলে অধ্যাপকদের দাবি।
  • Link to this news (বর্তমান)