নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: এই শীতে জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে বারাসত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে। কিন্তু হাসপাতালে আত্মীয়ের চিকিৎসা করাতে এসে তাঁরাই অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে রোগীর পরিবারের লোকজনদের মধ্যে। কারণ এই শীতে তাঁদের জন্য রাতের থাকার কোনও স্থায়ী ভবন নেই। খাতায় কলমে দু’টি রাত্রিনিবাস থাকলেও সেখানে রোগীর পরিজনদের থাকতে দেওয়া হয় না। একটিতে চলছে অফিস, অন্যটিতে চিকিৎসা। ফলে, অসহায় অবস্থা রোগীর পরিজনদের। জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর কীভাবে নাইট শেল্টার দখল করে চলছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন রোগীর পরিজনরা।
উত্তর ২৪ পরগনার সদর বারাসত জেলা হাসপাতালে রোজই হাজার হাজার মানুষ চিকিৎসা করাতে আসে। সুদূর বসিরহাট কিংবা বনগাঁ থেকেও মানুষ আসে এখানে চিকিৎসা করাতে। কিন্তু এই হাসপাতালে রোগীর পরিজনদের থাকার জায়গা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে। অধিকাংশই হাসপাতাল চত্বরে ত্রিপল টাঙিয়ে রাত্রিবাস করছেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সরকারিভাবে দু’টি নাইট শেল্টার রয়েছে। কিন্তু তা কার্যত ‘দখল’ হয়ে গিয়েছে। একটি ভবনে চলছে জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের (সিএমওএইচ) অফিস। অন্যটিতে চিকিৎসা। ফলে, রোগীর পরিজনরা তা ব্যবহার করতে পারছেন না। কোভিডের সময় থেকেই এই দুটি ভবন দখল হয়ে রয়েছে। কিন্তু হুঁশ নেই কারও।
এক রোগীর পরিবারের সদস্য লিল্টু বসাক বলেন, নামেই নাইট শেল্টার। কিন্তু আমাদের থাকার অধিকার নেই। বাধ্য হয়ে এই শীতে আকাশের নীচে কাটাচ্ছি। আমরাও অসুস্থ হয়ে পড়ব। মমতাজ বেগম নামে এক মহিলা তাঁর নাতনিকে জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। তাঁর খেদ, হাসপাতালে রাতে থাকার জায়গা নেই। শীতে রোগীদের পরিবারের যন্ত্রণার শেষ নেই। আমরা চাই দ্রুত এই নিয়ে ব্যবস্থা নিক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আরেক রোগীর আত্মীয় সমীরণ কিস্কু বলেন, নামেই মেডিক্যাল কলেজ। এখানে এসে আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ব। বড় বড় করে নাইট শেল্টার লেখা থাকলেও সেখানে থাকা যায় না। অস্থায়ীভাবে ত্রিপল টাঙিয়ে, মশারি নিয়ে রাতে থাকতে হয়। আমাদের যন্ত্রণার কথা কেউ ভাবেন না। এনিয়ে বারাসত সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এমএসভিপি অভিজিৎ সাহা বলেন, দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে।