• বড়দিনের কেকেও এবার থাবা বসাল মূল্যবৃদ্ধি
    বর্তমান | ২০ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বড়দিন চলে এল বলে। কিন্তু নিউ মার্কেট, বো বারাক, বিবাদী বাগ কিংবা পাড়ার কেক বা স্টেশনারি দোকানগুলিতে গেলেই ‘কেক কেক’ গন্ধ। বো বারাকে বড়ুয়াদের সেই কবেকার দোকান। সেখানে লাইন লেগেছে। দাম বেড়েছে কেকের। তবে লাইনের বহর কিন্তু কমেনি। তবে বড়ুয়ারা তো বটেই অন্যান্য দোকানের মালিকরাও বলছেন, ‘কেক তৈরির কাঁচামালের দাম বেড়েছে। তাই কেকের দাম বাড়ানো ছাড়া অন্য কোনও উপায় আমাদের কাছে নেই।’ তাঁদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে জানা গিয়েছে, দোকান ফেরে অনধিক ১০ শতাংশ দাম বেড়েছে ফ্রুট-পাম কেকের। 


    বো বারাক মানেই অ্যাংলো পাড়া আর বড়ুয়ার কেকের দোকান। সেখানে প্রায় রোজই দুপুর থেকে লম্বা লাইন। কেকের জোগান দিয়ে কুলোতে পারছেন না কর্মচারিরা। একটু বিকেল হলেই শেষ। বলতে হচ্ছে, ‘নেই।’ আর দামের বিষয়ে প্রশ্ন করলে সাফ জানাচ্ছেন, কেকের যে মূল উপকরণ অর্থাত্ ময়দা, চিনি, ডিম, ড্রাই ফ্রুটস, এসেন্স সবকিছুরই দাম বেড়ে গিয়েছে। তাই কেকের দাম তো বাড়বেই।’ শহরের প্রাচীন কেকের দোকান বড়ুয়া। বো বারাকে এই দোকানে বসেছিলেন কর্ণধার রতন বড়ুয়া। এই সময় তাঁর দম ফেলার সময় নেই। নিরাশ ক্রেতাদের বলছেন, ‘কাল আসুন। অনেক স্টক এসে যাবে।’ এমনিতে বো বারাকের অ্যাংলো ইন্ডিয়ান পরিবারগুলি ঘরে ঘরে বড়দিনের কেক তৈরি করে। বারাকের এক বাসিন্দা বললেন, ‘কেকের দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা করে বাড়ানো হবে।’ রতন বড়ুয়া বললেন, ‘১০ শতাংশ মতো দামবৃদ্ধি হয়েছে। ওয়াইন কেক আগে ছিল ৪১০ টাকা। এ বছর ৪৫০ টাকা হয়েছে। রাম কেক ৩২০ টাকা ছিল। হয়েছে ৩৫০ টাকা। ছানার ছোট কেকগুলি অবশ্য ক্রেতাদের কথা ভেবে ৪০ টাকাই রয়েছে।’


    ‘দাম তো সব জিনিসেরই বাড়ছে। তা বলে খাওয়াদাওয়া কি ছেড়ে দেব বলুন?’ বললেন অপরেশ লাহা নামে এক কেক প্রেমী। বো বারাক কিংবা নিউ মার্কেট, কিংবা ডালহৌসি দূরদূরান্ত থেকে মানুষ আসছেন কেক কিনতে। সেই দুর্গাপুর থেকে বো বারাকে এসেছেন সন্দীপ কর্মকার নামে এক ব্যক্তি। বললেন, ‘এখানকার কেক অসাধারণ। একটু দাম বেড়েছে ঠিকই। সে তো সবকিছুরই দাম বাড়ছে। কেকই বা বাদ যায় কেন। কিন্তু না খেয়ে থাকা তো সম্ভব নয়।’ শ্যামবাজারের বাসিন্দা শর্মিষ্ঠা বন্দ্যোপাধ্যায় বো বারাকে এসেও কেক পেলেন না। বললেন, ‘ফোন করে আসা উচিত ছিল।’ শান্তনু পাত্র নিউ মার্কেটে এসেছিলেন চুঁচুড়া থেকে। ‘ব্যাগ ভর্তি করে ফ্রুটস আর পাম কিনলাম বুঝলেন। একমাস ধরে চলবে’-বলে চলে গেলেন ট্যাক্সি ধরতে। 
  • Link to this news (বর্তমান)