সংবাদদাতা, বনগাঁ: আবাস তালিকায় খোদ পঞ্চায়েত প্রধানের নাম। যা নিয়ে শোরগোল পড়েছে বাগদা ব্লকের বয়রা পঞ্চায়েতে। পঞ্চায়েত প্রধান সুষমা মণ্ডলের নাম আবাস তালিকায় থাকায় বিরোধীদের কটাক্ষের মুখে পড়েছেন তিনি। যদিও তাঁর দাবি, পঞ্চায়েত প্রধান হওয়ার আগেই ঘরের জন্য আবেদন করেছিলেন। প্রশাসন সব কিছু খতিয়ে দেখে তালিকায় নাম রেখেছে তাঁর। বিরোধীদের অভিযোগ, প্রধান সহ এলাকার একাধিক তৃণমূল নেতা ও তাঁদের আত্মীয়দের নাম রয়েছে আবাস তালিকায়। অথচ যাঁরা প্রকৃত সরকারি ঘরের দাবিদার, তাঁরা বহুবার আবেদন করেও ঘর পাননি। বিরোধীদের অভিযোগ, শুধু প্রধান নন, তৃণমূলের অনেক নেতার পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও আবাস যোজনার তালিকায় তাঁদের নাম রয়েছে। বঞ্চিত হয়েছেন সাধারণ গরিব মানুষ। বহু ক্ষেত্রেই স্বজনপোষণ হয়েছে বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত প্রধান সুষমা মণ্ডল কুরুলিয়ার বাসিন্দা। অথচ মালিদা এলাকায় আবাস তালিকায় নাম রয়েছে তাঁর। সুষমা মণ্ডলের টিনের চালের বাড়ি হলেও দেওয়াল পাকা। ফলে তিনি আবাসের ঘর পাওয়ার যোগ্য নন। কী করে তাঁর নাম তালিকায় এল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। এবিষয়ে সুষমা মণ্ডল বলেন, পঞ্চায়েত প্রধান হওয়ার আগে আমি ঘরের জন্য আবেদন করেছিলাম। প্রশাসন সমীক্ষা করে আমাকে ঘর দিয়েছে। প্রশাসন যদি মনে করে আমি ঘর পাওয়ার যোগ্য নয়, আমার নাম বাদ দিয়ে দিক। এ নিয়ে কটাক্ষ করে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা বিজেপি যুবমোর্চার সহ সভাপতি দেবু ঢালি বলেন, প্রধানের পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও আবাস তালিকায় নাম উঠেছে তাঁর। অথচ যাদের ঘর নেই তাঁরা পাননি। মানুষকে ভুল বোঝাতেই অন্য জায়গায় নাম তুলেছেন তিনি। এ নিয়ে বিজেপির পাশাপাশি তৃণমূলের একাংশও সরব হয়েছে।
বাগদার বিডিও প্রসূন প্রামাণিক বলেন, চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর কিছু অভিযোগ এসেছে। গ্রামসভার মাধ্যমে সেগুলি সংশোধন করা হয়েছে। এরপরও যদি কোন অযোগ্য ব্যক্তি ঘর পেয়ে থাকেন, সেগুলি নিশ্চিতভাবেই খতিয়ে দেখা হবে। আবাস তালিকায় প্রধানের নাম থাকা নিয়ে বিডিও বলেন, মুখ্যমন্ত্রী কিছু বিষয় মানবিকভাবে দেখতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেকথা মাথায় রেখেই প্রধানের বিষয়টি দেখা হয়েছে।