• শীতের দমদমে উৎসবে ভাটা! বন্ধ বহু মেলা
    বর্তমান | ২০ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বরানগর: ভরা শীতে সব জায়গার মতো উৎসবে গা ভাসায় দক্ষিণ দমদমও। গান, খাদ্য, যাত্রার মতো মেলা হয় একাধিক। কিন্তু এবার সে জোয়ারে পড়েছে ভাটা। দমদম সঙ্গীতমেলা এবং নালেঝোলে খাদ্যমেলা হচ্ছে না। যাত্রা উৎসবও আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। এর পাশাপাশি দু’দশক পুরনো দমদম মেলা এবার জায়গার অভাবে উঠে গিয়েছে পাশের এলাকা বিধাননগরে। অনেকের বক্তব্য, টাকার জোগান আগের থেকে কমেছে। তার উপর সামনে বিধানসভা ভোট। তাই এবছর নয় পরের বছরের বড়দিনের মরশুমে শহর আনন্দ মুখরিত রাখতে এ বছর উৎসবে লাগাম পরানো হয়েছে। বইমেলা ও নাট্যমেলা অবশ্য হচ্ছে।


    ২০০৩ সাল থেকে দক্ষিণ দমদমের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের সুরের মাঠে দমদম মেলা হয়। শতাধিক দোকান বসে। বাইরে বসে একশোরও বেশি দোকান। নামি শিল্পীরা অনুষ্ঠান করেন। এবার সেটি বিধাননগর পুরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের অর্জুনপুর খেলার মাঠে স্থানান্তর হয়েছে। মেলার অন্যতম উদ্যোক্তা ও পুরসভার সিআইসি সঞ্জয় দাস বলেন, ‘মেলার মাঠ বেসরকারি কলেজের নিয়ন্ত্রণে। তারা অনুমতি দেয়নি। বাধ্য হয়ে অর্জুনপুরে সরানো হয়েছে।’


    দমদম সঙ্গীতমেলা বিগ বাজেটের অনুষ্ঠান। কয়েক কোটি টাকা খরচ করে নামকরা শিল্পীদের আনা হয়। ২০১৮ সালে শুরু হয়েছিল। করোনার জন্য দু’বছর বন্ধ ছিল। ’২২ সাল থেকে ফের চালু হয়। এবার এই হাই প্রোফাইল মেলাও হচ্ছে না। মেলার সঙ্গে যুক্তদের বক্তব্য, ‘আয়োজনের খরচ বিপুল। ঝক্কিও রয়েছে।’ এই অনুষ্ঠানের মূল উদ্যোক্তা প্রবীর পাল (কেটি) ইচ্ছে করেই এবার সে সব ঝক্কি এড়াতে চাইছেন বলে খবর। সম্ভবত সামনের বছর মেলা হবে। তবে এ বিষয়ে প্রবীরবাবু কোনও মতামত দিতে রাজি হননি। দমদমে খাদ্যমেলাও খুব জনপ্রিয়। সেটির নাম ‘নালেঝোলে’ রেখেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ২০১৩ সালে শুরু হওয়া সে মেলা এবার হচ্ছে না। ন’দিনের এই মেলায় রাজ্যের নামকরা খাবারের দোকান হাজির হতো। অন্যতম উদ্যোক্তা ও কাউন্সিলার দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কিছু সংস্থা এবার আসতে না পারায় মেলা বন্ধ রাখতে হয়েছে।’ 


    ২০১৬ সাল থেকে দমদমে হয়ে আসছে যাত্রা উৎসব। পাঁচ দিনের এই উৎসবে নামকরা যাত্রা সংস্থা মানুষকে বিনোদন দিতে আসে। উদ্যোক্তারা বিপুল সংখ্যক দর্শককে বিনামূল্যে ঝালমুড়ি ও চা খাওয়ান। সে উৎসবও স্থগিত রাখা হয়েছে। অনুষ্ঠানের অন্যতম উদ্যোক্তা ও চার নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার প্রদীপ মজুমদার বলেন, ‘যাত্রা উৎসব এখনকার মতো স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’ ‘কেন’ এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘সেটা আমিও বুঝতে পারছি না।’
  • Link to this news (বর্তমান)