বিডিও অফিসে পড়ে নষ্ট হচ্ছে বর্জ্য নিষ্কাশনের সেসপুল গাড়ি
বর্তমান | ২০ ডিসেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: দেগঙ্গায় বর্জ্য নিষ্কাশনের জন্য বারাসতের সাংসদ তহবিলের কোটি টাকা খরচ করে সেসপুল গাড়ি ও হাইড্রোলিক মেশিন কেনা হয়েছিল। তা দেওয়া হয় পঞ্চায়েত সমিতিকে। কিন্তু ভ্যাটের জন্য জায়গা না পাওয়ায় সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে, বছরের পর বছর ব্লক অফিসে পড়ে নষ্ট হচ্ছে এই যন্ত্র। এর জন্য ব্লক ও পঞ্চায়েত সমিতির পরিকল্পনাহীন ভাবনাকেই কাঠগড়ায় তুলেছে বিরোধীরা। শহরের আদলে দেগঙ্গা ব্লকের গ্রামীণ এলাকার আবর্জনা, বর্ষার
জমা জল দ্রুত পরিষ্কার করতে বেশকিছু সামগ্রী কেনা হয়। এর মধ্যে দু’টি সেসপুল গাড়ি ও দু’টি হাইড্রোলিক মেশিন কেনা হয়েছিল বারাসতের সাংসদ তহবিলের
টাকায়। কিন্তু, সেগুলি ব্যবহার হয়নি। পড়ে রয়েছে ব্লক অফিসে। বছরের পর বছর পড়ে থাকার ফলে মরিচা ধরে গিয়েছে। গাড়িও নষ্ট হওয়ার মুখে। ফলে, উন্নত নাগরিক
পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বাসিন্দারা। এই প্রসঙ্গে তৎকালীন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মফিদুল হক সাহাজি বলেন, সাংসদ তহবিলের প্রায় এক কোটি টাকায় সেসপুল
গাড়ি এবং হাইড্রোলিক মেশিন কেনা হয়। এর ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের কিছু ত্রুটি ছিল। দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির বর্তমান সভাপতির প্রতিনিধি তুষারকান্তি দাস বলেন, ভ্যাটের জন্য জমি কেনার কাজ চলছে। জমির ব্যবস্থা না হওয়ার জন্যই এই গাড়ি অকেজো হয়ে পরে রয়েছে। দ্রুত এগুলি সারাই
করে ব্যবহার করা হবে। এনিয়ে সিপিএম নেতা নারায়ণ চক্রবর্তী বলেন, তৃণমূল পরিকল্পনাহীন এই কাজ করেছে। ফলে, যা হওয়ার তাই হচ্ছে। কোটি টাকার জিনিস নষ্ট। অন্যদিকে, বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তরুণকান্তি ঘোষ বলেন, গ্রামীণ এলাকার উন্নয়নের জন্য বারাসতের সাংসদের ভাবনা ঠিক ছিল। কিন্তু পরিকল্পনা না করেই এগুলি কেনা হয়েছে। ব্যবহার না হওয়ার জন্য নষ্ট হচ্ছে। সাধারণ মানুষ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আবর্জনা সাফাই নিয়েও অভিযোগ রয়েছে।