• বন্যপ্রাণী থেকে সংক্রমণ মানুষে! সতর্ক থাকার বার্তা
    এই সময় | ২০ ডিসেম্বর ২০২৪
  • এই সময়: হনুমান, বেজি, কচ্ছপ তো আছেই। রয়েছে আরও অনেক বন্যপ্রাণী ও গৃহপালিত পশু যাদের শরীর থেকে নতুন বা মিউটেটেড নানা জীবাণু নিত্য চলে আসার আশঙ্কা রয়েছে মানুষের শরীরে। এই জুনোটিক ইনফেকশন বা প্রাণিঘটিত সংক্রমণ থেকে সতর্ক না হলে মানুষের সমূহ বিপদ। এমনই সাবধানবাণীর কথা সম্প্রতি বিশেষজ্ঞদের বক্তব্যে উঠে এল রাজ্য প্রাণী ও মৎস্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ে এনএসএস ইউনিট আয়োজিত একটি অ্যাকাডেমিক অনুষ্ঠানে।

    সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ভাইরোলজি বিশেষজ্ঞ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের রস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৌভিক ঘোষ। তিনি বলেন, ‘গবেষণায় উঠে এসেছে, কী ভাবে হনুমান, বেজি, এমনকী কচ্ছপের শরীর থেকেও নানা ভাইরাস রূপ বদলে বিভিন্ন পথে মানুষের শরীরে চলে আসছে বা আসার যথেষ্ট আশঙ্কা আছে। এর মধ্যে পিকো-বিরনা, রোটা, সারকো, সাইলো, অ্যাডিনো ও হার্পিস ভাইরাস চুপিসারে মানুষের শরীরে চলে আসছে। এর জেরেই পেটের রোগ, শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা, এমনকী নিউমোনিয়ার মতো অসুখ বেড়ে গিয়েছে।’

    সৌভিক জানান, আজকাল ‘নেক্সট জেনারেশন সিক্যুয়েন্সিং’, ‘ট্রানসক্রিপটোম স্টাডি’র মতো মলিকিউলার বায়োলজির প্রযুক্তি ব্যবহার করে জানতে পারা যাচ্ছে, কিছু নতুন ভাইরাস আর কিছু পুরোনো ভাইরাসের মিউটেটেড ভার্সনের আনাগোনা বিলক্ষণ চলছে প্রাণী থেকে মানুষের শরীরে। তাই এ বিষয়ে আরও সতর্কতা জরুরি বলে জানান তিনি।

    সেমিনারের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শ্যামসুন্দর দানা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র হিসাবে ‘ওয়ান হেলথ সেন্টার ফর জুনোসিস অ্যান্ড ট্রপিক্যাল ভেটেরিনারি মেডিসিন’–এর অধিকর্তা সৌভিকের গবেষণার ভূয়সী প্রশংসা করেন।

    অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভাইরোলজি বিশেষজ্ঞ সিদ্ধার্থ জোয়ারদার, ভেটেরিনারি ফ্যাকাল্টির ডিন নীলোৎপল ঘোষ, পরীক্ষা নিয়ামক তথা এনএসএস কো-অর্ডিনেটর শুভাশিস বটব্যাল, ডেপুটি ডিরেক্টর কেশবচন্দ্র ধাড়া, অরুণা পাল, শমিক পোল্লে, শ্যামসুন্দর কেশের পাশাপাশি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক ও পড়ুয়ারা।

  • Link to this news (এই সময়)