• আট হাজার কোটির টানেলের পরিকল্পনা হুগলি নদীর নীচে
    এই সময় | ২০ ডিসেম্বর ২০২৪
  • দেবাশিস দাস

    স্ট্র্যান্ড রোড, হাওড়া ব্রিজ এবং দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে পণ্যবাহী যানবাহনের চাপ কমাতে হুগলি নদীর নীচে আট হাজার কোটি টাকা খরচে টানেল বানাতে চলেছে কলকাতা বন্দর। বিশাল অঙ্কের এই প্রকল্প নিয়ে সম্প্রতি কলকাতা পুরসভার আধিকারিকদের সঙ্গে বন্দরের আধিকারিকরা আলোচনায় বসেন।

    খুব শিগগিরই এই কাজ শুরু করতে চাইছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, ডিটেলড প্রজেক্ট রিপোর্ট (ডিপিআর) তৈরির কাজ চলছে। মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘ডিপিআর তৈরির কাজ শেষ হলেই বিষয়টি নিয়ে মুখ্যসচিবের সঙ্গেও বৈঠক করবে বন্দর এবং পুরসভা।’

    একেবারে সাঁকরাইল থেকে খিদিরপুরে বন্দরের ভিতর পর্যন্ত হুগলি নদীর নীচ দিয়ে টানেল নির্মাণের পরিকল্পনা করেছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ। এই টানেল দিয়ে শুধু পণ্যবাহী যানবাহনই চলাচল করবে। এর ফলে স্ট্র্যান্ড রোড, হাওড়া ব্রিজ এবং দ্বিতীয় হুগলি সেতু দিয়ে পণ্যবাহী ভারী গাড়ি চলাচলের প্রয়োজন হবে না। কলকাতা ও হাওড়ার মধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী এই তিনটি ব্যস্ত পথের ভার অনেকটাই লাঘব হবে।

    সাম্প্রতিক বৈঠকে হাওড়া ব্রিজের রক্ষণাবেক্ষণ নিয়েও কথা হয় পুরসভা এবং বন্দরের আধিকারিকদের মধ্যে। বয়স বাড়ার সঙ্গে–সঙ্গে এই ব্রিজের স্বাস্থ্যরক্ষা খুব জরুরি হয়ে পড়েছে। মেয়র জানান, সেতু পরীক্ষা করে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আপাতত বছর চল্লিশ হয়তো ঠিক থাকবে হাওড়া ব্রিজ।

    আয়ু আরও বাড়াতে রক্ষণাবেক্ষণের বেশ কিছু কাজ শুরু করতে হবে। এই কাজের জন্যে একটি ব্রিটিশ নির্মাণসংস্থার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলবেন বন্দরের আধিকারিকরা। তাঁদের পরামর্শ অনুযায়ী হাওড়া ব্রিজ সংস্কারের কাজ শুরু হবে। পুরসভার তরফে বন্দরের কর্তাদের কাছে বন্দরের হাতে থাকা নানা জায়গায় মাল্টি লেভেল কার পার্কিংয়ের জন্যে জমি চাওয়া হয়। বন্দরকর্তারা প্রস্তাব বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন। মেয়র জানান, এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে স্ট্র্যান্ড রোডের মতো ব্যস্ত রাস্তায় পার্কিং নিয়ে সমস্যা কমবে।

  • Link to this news (এই সময়)