এই সময়: বাংলায় এলেও বিজেপির কোনও কর্মসূচিতেই থাকছেন না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। লোকসভা নির্বাচনের পর এটা শাহের দ্বিতীয় বঙ্গ–সফর। সূত্রের খবর, এ রাজ্যের বিজেপি নেতারা তাঁর সময় চাইলেও শাহ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এই সফরে তিনি কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেবেন না। শুক্রবার উত্তরবঙ্গে একটি সরকারি কর্মসূচি সেরে সন্ধ্যায় তিনি দিল্লি ফিরে যাবেন।
এক প্রবীণ বিজেপি নেতার কথায়, ‘এর আগে অনেক বারই সরকারি কাজে বাংলায় এসেছেন শাহ। তার মধ্য থেকে বিজেপির জন্য কিছুটা সময় বের করতেন তিনি। সম্ভবত এ বারই প্রথম আমরা ছোট একটা বৈঠক করারও সুযোগ পেলাম না ওঁর সঙ্গে।’
কেন শাহ তাঁর ঝটিতি বঙ্গ–সফরে বিজেপি নেতৃত্বকে কার্যত ‘ব্রাত্য’ রাখলেন, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। নেপাল এবং ভুটানের সীমান্ত রক্ষাকারী সশস্ত্র সীমা বল (এসএসবি)–র প্রতিষ্ঠা দিবস আজ, শুক্রবার। এ দিন সকাল দশটা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত শিলিগুড়িতে এসএসবির একটি অনুষ্ঠানে থাকবেন শাহ। এরপর এসএসবি আধিকারিকদের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করার কথা তাঁর। বিকেল তিনটে নাগাদ বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেবেন বলেই জানা গিয়েছে।
অক্টোবরে সরকারি কাজে বাংলায় এসেছিলেন শাহ। তবে, তারই মধ্যে রাজ্যে বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযানের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন তিনি। বঙ্গ–বিজেপির কোর কমিটির সঙ্গে একটা ঝটিতি বৈঠকও করেন শাহ। এ বারও গতবারের মতো কেন রাজনৈতিক কর্মসূচি রাখলেন না, তা নিয়ে বিজেপির অন্দরে নানা মত। দলের একাংশের ব্যাখ্যা, নতুন করে রাজ্য বিজেপি নেতাদের কোনও বার্তা দেওয়ার নেই শাহের। তাই তিনি কোনও বৈঠক রাখেননি বিজেপি নেতাদের সঙ্গে।
এক বিজেপি নেতার যুক্তি, ‘উনি তো কলকাতাতেও আসছেন না। শিলিগুড়ি থেকেই তিনি শুক্রবার বিকেলে দিল্লি ফিরে যাবেন। তিনি বৈঠক ডাকলে আমাদের উত্তরবঙ্গে ছুটতে হতো। লোকসভায় শীতকালীন অধিবেশন চলছে। ফলে এ রাজ্যের সাংসদরা সবাই দিল্লিতে। সেখানে প্রতিদিনই তাঁদের সঙ্গে শাহের দেখা হচ্ছে।’
তবে বঙ্গ–বিজেপির অন্য একটি অংশ মনে করছে, পশ্চিমবঙ্গের পদ্ম নেতৃত্বর পারফরম্যান্সে খুশি নন শাহ। তাই বাংলাতে এসেও তিনি এড়িয়ে গেলেন বিজেপি নেতাদের। যদিও বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার শুক্রবার সকাল থেকেই শাহের সঙ্গে থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। সেখানে তিনি সুকান্তর সঙ্গে সাংগঠনিক বিষয়ে কোনও আলোচনা করবেন? এক প্রবীণ বিজেপি নেতার কথায়, ‘অমিত শাহকে যাঁরা চেনেন, তাঁরা জানেন অকারণে বেশি কথা বলা পছন্দ করেন না তিনি। যদি তাঁর কোনও সাংগঠনিক বার্তা দেওয়ার–ই থাকত, তা হলে তিনি বৈঠক ডেকেই দিতেন।’