ছিটকে বার হয়ে গেল চলন্ত সরকারি বাসের পিছনের দুটি চাকা। ভয়াবহ দুর্ঘটনার হাত থেকে বরাত জোরে বাঁচলেন ৪০ জন যাত্রী। তীব্র ঝাঁকুনিতে বাসযাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়লেও কারও কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর মুর্শিদাবাদের সুতি থানার আহিরণে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার বাসটি ফরাক্কা থেকে বহরমপুরের দিকে যাচ্ছিল। আহিরণ সেতু পার করার পরেই ঘটে বিপত্তি। খুলে যায় চলন্ত বাসের পিছনের দুটি চাকা। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয় আহিরণে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সুতি থানার পুলিশ।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, কেউ হতাহত হননি। চলন্ত বাসের পিছনের দুটি চাকা-সহ লোহার কাঠামো কী ভাবে খুলল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বাসটির স্বাস্থ্য কি আদৌ পরীক্ষা করা হতো নিয়মিত? তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। পুলিশ সূত্রে খবর, সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দুর্ঘটনার সময় বাসের গতি কত ছিল বাসচালককে তা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
বাসের যাত্রীরা এই গোটা ঘটনায় আতঙ্কিত। এক যাত্রী বলেন, ‘মনে হচ্ছিল প্রাণটাই আর থাকবে না। কাছের মানুষগুলোকে আর কোনওদিন দেখতে পাবো না।’ অন্য যাত্রী বলেন, ‘হঠাৎ দেখলাম চাকাগুলো খুলে গেল। এতগুলো মানুষকে বাসে তোলার আগে ভালো করে বাসটির স্বাস্থ্য খতিয়ে দেখা উচিত ছিল। বরাতজোরে কারও কিছু হয়নি। কিন্তু কর্তৃপক্ষের সচেতন হওয়া উচিত ছিল।’
এই দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে জেলা স্টেট ট্রান্সপোর্ট অথরিটির চেয়ারম্যান চাঁদ মহম্মদ বলেন, ‘দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বাসটি ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির মাধ্যমে চলছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখা হবে। তবে ডিপো থেকে ছাড়ার আগে সব দিক খতিয়ে দেখা উচিত ছিল।’