দেবাশিস দাস
বাম আমলে শুধু শিলান্যাসটুকুই হয়েছিল। তাও বছর বিশেক হতে চলল। তার পরে আর কাজ এগোয়নি একচুলও। এ বার টালিগঞ্জের সেই কুঁদঘাট বাজার নতুন করে নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে কলকাতা পুরসভা। পুরসভার বাজার বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, খুব শিগগিরই এই কাজে হাত দেওয়া হবে। এলাকার বাসিন্দারা অনেক বার বাজারটির উন্নয়নের দাবি তুলেছেন।
মেট্রো রেলের নেতাজি স্টেশনের পাশেই কুঁদঘাট বাজার। এই বাজারের উপরে কুঁদঘাট, পূর্ব ও পশ্চিম পুটিয়ারি, ব্যানার্জিপাড়া, চাকদহ, বন্দিপুর, নিউ টালিগঞ্জ–সহ বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারা নির্ভরশীল। মেট্রো সংযোগের পরে এই এলাকায় গত ২০ বছরে জনসংখ্যাও বেড়েছে কয়েক গুণ। কিন্তু বাজারের উন্নতি হয়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, বছরের পর বছর এই বাজারের উন্নয়ন নিয়ে নানা কথা শোনা গেলেও কোনও কাজই হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা সুব্রত গুহর কথায়, ‘প্রতিদিন সকাল–সন্ধ্যায় কার্যত রাস্তাতেই বাজার বসে। এর ফলে এলাকার রাস্তা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। যখন–তখন ব়ড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। মোটরবাইক, সাইকেল, রিকশা, অটো, প্রাইভেট কার, মিনি ট্রাক, পুলকার, প্যাডেল ভ্যান মিলিয়ে গাড়ির যাতায়াত লেগেই থাকে। পথচারীদের হাঁটার উপায় থাকে না।’ আরও এক বাসিন্দা বিনয় চক্রবর্তী বলেন, ‘আমাদের আশপাশে সব বাজারেরই উন্নতি হয়েছে। অথচ কুঁদঘাট বাজারের হাল বদলায়নি। পরিকল্পনা মাফিক বাজারটির সংস্কার করে এলাকার রাস্তাগুলিকে যদি সম্প্রসারণ করা যায় তা হলে বাসিন্দারা দু’বেলা নিশ্চিন্তে পথ চলতে পারেন।’
কলকাতা পুরসভার বাজার বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, জমি–জটের জন্যেই কুঁদঘাট বাজারের উন্নয়ন আটকে ছিল। তবে সেই জট অনেকটাই কেটেছে। পুরসভার বাজার, বিল্ডিং এবং সিভিল বিভাগের আধিকারিকরা এরই মধ্যে বেশ কয়েক বার ওই বাজার পরিদর্শন করেছেন। দোকানদারদের দোকান বণ্টন এবং কী ভাবে ওই বাজারের উন্নয়ন করা যায়—তা নিয়েও পুর–আধিকারিকরা আলোচনা করেছেন।
উন্নয়নের জন্যে বাজারের দোকানদারদের অস্থায়ী ভাবে কোথায় বসতে দেওয়া যায়, তা নিয়েও পুর–আধিকারিকরা পরিকল্পনা করছেন। বাজারের অস্থায়ী স্থানান্তরের জন্যে জমি খোঁজা হচ্ছে। পুরসভার বাজার বিভাগের মেয়র পারিষদ অমিরুদ্দিন ববি বলেন, ‘শহরের বেশ কয়েকটি বাজারের উন্নয়নের পরিকল্পনা হয়েছে। সেই তালিকায় কুঁদঘাট বাজারও রয়েছে।’ তবে ঠিক কবে থেকে এই বাজার উন্নয়নের কাজ শুরু হবে, তা নিয়ে মেয়র পারিষদ কোনও নিশ্চয়তা দিতে পারেননি।