• বড়দিনের আগে কি চালু হবে সেন্ট ওলাভ চার্চের ঘড়ি? মুখ খুললেন কর্তৃপক্ষ
    এই সময় | ২০ ডিসেম্বর ২০২৪
  • বড়দিনের আগে সেজে উঠেছে হুগলি জেলার বিভিন্ন চার্চ। আলোয় ঝলমল করছে শ্রীরামপুরে সেন্ট ওলাভ চার্চও। কিন্তু উৎসবের আগেই কেটেছে তাল, বন্ধ হয়েছে চার্চের মাথায় লাগানো শতাব্দী প্রাচীন ঘড়ি। তা চালু করার জন্য চার্চ এবং শ্রীরামপুর পুরসভার তরফ থেকে যাবতীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে। কিন্তু বড়দিনের আগে তা আদৌ চালু করা সম্ভব কি না, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    শ্রীরামপুরে সেন্ট ওলাভ চার্চ-এ বড়দিনের জন্য ১২ দিন ধরে বিরাট উৎসবের আয়োজন করা হয়। এর উদ্বোধন করেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই চার্চের ইতিহাসের সঙ্গে ওতোপ্রতোভাবে জড়িয়ে রয়েছে চার্চের মাথায় লাগানো ঘড়ি। কিন্তু সেই ঘড়ির কাঁটা থমকে রয়েছে ৪টা বেজে ১০ মিনিটে। ইতিমধ্যেই চার্চ সেজে উঠেছে আলোয়। বড়দিনের কাউন্টডাউনও শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আদৌ কি বড়দিনের আগে চালু করা যাবে এই ঘড়ি?

    চার্চের ফাদার অনুপ মণ্ডল জানান, চার্চটির দায়িত্বে রয়েছে ডায়োসিস। এই ঘড়ি দম দিতে প্রতি সপ্তাহে খরচ হয় তিন হাজার টাকা। এর জন্য কলকাতা থেকে আলাদা করে বিশেষজ্ঞ আসেন। দু'তিন মাস এই ঘড়িটি বন্ধ রয়েছে। যাঁরা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছেন, তাঁদের খবর দেওয়া হয়েছে। বড়দিনের আগে ঘড়িটি চালু করা সম্ভব হবে কি না, তা নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারেননি তিনি। শ্রীরামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান গিরিধারী সাহা বলেন, ‘এই ঘড়ির সঙ্গে আমাদের ছোটবেলার বহু স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। ঘড়িটি যাতে দ্রুত সারানো যায় সেই বিষয়টি চার্চ কর্তৃপক্ষের নজরে আনব।’

    চার্চের সেক্রেটারি সুনীল কুমার দাস বলেন, ‘ইতিমধ্যেই টেকনিশিয়ানকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তাঁরা না আসলে কোনও কিছু বলা সম্ভব নয়।’

    উৎসবের মুখে চার্চের এই ঘড়িটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মন খারাপ শহরবাসীর। শ্রীরামপুরের বাসিন্দা তথা অধ্যাপক ভাস্কর চৌধুরী বলেন, ‘এই ঘড়ি অত্যন্ত প্রাচীন এবং চার্চের একটি মূল্যবান সম্পদ। আমরা ছোটবেলায় এই চার্চের ঘড়ির ঘণ্টা শুনতে পেতাম। আশা করছি তা দ্রুত সচল করার জন্য চার্চ কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ করবেন।’

  • Link to this news (এই সময়)