• পাস মার্কসের ভুল শুধরে জুটল ডাহা ফেলের তকমা!
    এই সময় | ২০ ডিসেম্বর ২০২৪
  • এই সময়: সদস্য সংগ্রহের নিরিখে বঙ্গ–বিজেপি ডাহা ফেল বলে বৃহস্পতিবার জানালেন মঙ্গল পাণ্ডে, অমিত মালব্যর মতো কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরা।

    এ দিন সল্টলেকে ‘সদস্য সংগ্রহ অভিযান কর্মশালা’র আয়োজন করে বিজেপি। সেখানে মঙ্গল–অমিতদের বক্তব্য, পরীক্ষায় পাশ করতে হলে ৩০ শতাংশ নম্বর পেতে হয়। কিন্তু বঙ্গ–বিজেপি এই পরীক্ষায় ২৭ শতাংশ নম্বর পেয়েছে, যা ফেল করারই সামিল।

    সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এমন উষ্মার মুখে পড়েও বাংলার বিজেপি নেতারা ‘সততার পরিচয়’ দিয়েছেন। তাঁরা কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের জানিয়েছেন, বাংলায় পরীক্ষায় পাশ করতে হলে ৩৪ শতাংশ নম্বর পেতে হয়। জানা গিয়েছে, মঙ্গল পাণ্ডে এরপর তাঁদের বলেন, ‘তা হলে তো আপনারা ডাহা ফেল করেছেন!’

    পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছিল গত ২৭ অক্টোবর। অমিত শাহরা বঙ্গ–বিজেপি নেতৃত্বকে এক কোটি সদস্য সংগ্রহের টার্গেট দিয়েছিলেন। সময় ছিল ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু মেয়াদ শেষের পরও লক্ষ্যমাত্রার ধারেকাছে পৌঁছতে পারেননি পদ্ম–নেতারা। তাই আরও একমাস সময় বাড়ানো হয়। সেই বর্ধিত সময়ও শেষ হতে চলল। এক কোটি তো দূর, সদস্য সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ২৭ লক্ষ!

    মিসড কল দিয়ে বিজেপি–র সদস্য হওয়া ব্যক্তিদের কী ভাবে দলে সক্রিয় করে তোলা যায়, তা নিয়েই এ দিন সল্টলেকের একটি হোটেলে ওই কর্মশালার আয়োজন করে বিজেপি। সেখানে রাজ্য এবং জেলাস্তরের নেতাদের পাশাপাশি হাজির ছিলেন পাণ্ডে, মালব্যের মতো কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরা। সূত্রের খবর, বৈঠকে পাণ্ডে বলেন, ‘আপনাদের এক কোটি সদস্য সংগ্রহের টার্গেট দেওয়া হয়েছিল। সেখানে আপনারা মাত্র ২৭ লক্ষ সদস্য করতে পেরেছেন, অর্থাৎ ২৭ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন। পাশ নম্বরটুকুও জোটাতে পারেননি। পাশ মার্কস ৩০ শতাংশ।’

    এরপরই বাংলার বিজেপি নেতাদের ক’জন একসুরে বলেন, ‘আমাদের সময়ে পরীক্ষায় পাশ করতে হলে ৩৪ শতাংশ নম্বর পেতে হতো। ৩০ শতাংশ পেলেও লাল কালি পড়ত।’ তখন পাণ্ডে আক্রমণের ঝাঁজ আরও বাড়িয়ে ‘ডাহা ফেল’–এর কথা বলেন বলে খবর।

    পাশাপাশি, পাণ্ডেরা এ দিন বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, সদস্য সংগ্রহের পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ার জন্য বঙ্গ–বিজেপি নেতাদের শাস্তির মুখেও পড়তে হতে পারে। সূত্রের খবর, কর্মশালায় তিনি জানান, আগামী মাসেই দলের অন্দরে সাংগঠনিক রদবদলের প্রক্রিয়া শুরু হবে। যে বিজেপি নেতারা নিজের নিজের এলাকায় ঠিক ভাবে সদস্য সংগ্রহ করতে পারেননি, তাঁদের নতুন সাংগঠনিক কমিটি থেকে ছেঁটে ফেলা হতে পারে।

  • Link to this news (এই সময়)