স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বার্নার পেশায় দিনমজুর ছিলেন। স্ত্রীকে খুঁজে আনতে শ্বশুরবাড়ির লোকজন যুবকের উপর চাপ সৃষ্টি করছিলেন বলে অভিযোগ। এক দিকে স্ত্রীর সন্ধান না মেলা, অন্য দিকে শ্বশুরবাড়ির চাপ—সেই কারণেই বার্নার আত্মহত্যা করেছেন বলে তাঁর পরিবারের দাবি। সাগরদিঘি থানার পুলিশ জানিয়েছে, অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্ত্রীর খোঁজ চলছে। আত্মহত্যায় কারও প্ররোচনা রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত রবিবার সন্ধ্যায় কাজ থেকে বাড়ি ফিরে বার্নার দেখেন, স্ত্রী বাড়িতে নেই। রাত পর্যন্ত স্ত্রী ঘরে ফিরে না আসায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে তিনি জানতে পারেন, কোলের কন্যাসন্তানকে নিয়ে প্রতিবেশী যুবকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছেন স্ত্রী। বাড়িতে রেখে গিয়েছেন ১০ বছরের মেয়েকে। এর পরেই শুক্রবার সকালে বার্নারের দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয়েরাই তাঁকে উদ্ধার করে সাগরদিঘি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসক যুবককে মৃত ঘোষণা করেন। মৃতের এক আত্মীয় সুখেন কিস্কু বলেন, ‘‘ওঁর স্ত্রী এক পরিচিত বন্ধুর সঙ্গে কোলের মেয়েকে নিয়ে চলে গিয়েছে। শ্বশুর বাড়ির লোকজনও চাপ দিচ্ছিল। নিজেকে আর সামলাতে পারেনি। তাই হয়তো আত্মহত্যা করেছে।’’